Dhaka ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনির গাজায় শহীদদের মাগফিরাত কামনায় আত্রাইয়ে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত

 

 

 

নওগাঁ প্রতিনিধি: ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বর্বরোচিত হামলায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় নওগঁার আত্রাই উপজেলার বান্ধাইখাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

শনিবার সকালে বান্ধাইখাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শ্রেণী কক্ষে সকল শিক্ষক কর্মচারি ও শিক্ষার্থীরা মোনাজাতে অংশ নেয়। তারা সমবেতভাবে ফিলিস্তিনে নিহতদের রুহের শান্তি ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া করেন।

 

 

তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মুরাদ হোসেন বলেন, ‘ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। বিশ্ববাসীর কাছে আবেদন জানাই, ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হোক।

 

 

বান্ধাইখাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম বিষয়ক সহকারি শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় শিশুদের হত্যার দৃশ্যে আমাদের সন্তানের মুখ আমরা দেখতে পাই, যা সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই। বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত দেহ আমাদের হৃদয়কেও ক্ষতবিক্ষত করে যাচ্ছে।

 

 

সেই তাড়না থেকে আজ দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছি। তিনি আরো বলেন, অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

 

 

বান্ধাইখাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক ছনি সরকার বলেন, ‘মানবতার ধোঁয়া তোলা যে সমস্ত শক্তিধর দেশগুলো মানবতার কথা বলে, তাদের ভিতরেই তো মানবতার লেশমাত্র নেই। মুখেই শুধু মানবতার কথা বলে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল জাতির কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, ফিলিস্তিনের গাজার শিশু-নারীসহ সকল জনগণের উপর নির্বিচারে যেভাবে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তা খুবই ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। ইতিহাস কী মুছে যাবে? নাকি করুণ ইতিহাস পৃথিবীর কাছে লজ্জিত হবে? সর্বোপরি এই গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি ।

 

 

দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বান্ধাইখাড়া টেকনিক্যাল কলেজের লাইব্রেরিয়ান জহুরুল ইসলাম বলেন, “একজন শিক্ষক হিসেবে শিশুদের চোখের দিকে তাকিয়ে আমি ভাবি, গাজার শিশুরাও তো আমাদেরই মতো। কিন্তু তারা প্রতিনিয়ত মৃত্যুভয়ে আছে।

 

আমরা নীরব থাকতে পারি না। এই দোয়া আমাদের বিবেকের প্রতিধ্বনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

ফিলিস্তিনির গাজায় শহীদদের মাগফিরাত কামনায় আত্রাইয়ে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৪:১৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

 

 

 

নওগাঁ প্রতিনিধি: ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বর্বরোচিত হামলায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় নওগঁার আত্রাই উপজেলার বান্ধাইখাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

শনিবার সকালে বান্ধাইখাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শ্রেণী কক্ষে সকল শিক্ষক কর্মচারি ও শিক্ষার্থীরা মোনাজাতে অংশ নেয়। তারা সমবেতভাবে ফিলিস্তিনে নিহতদের রুহের শান্তি ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া করেন।

 

 

তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মুরাদ হোসেন বলেন, ‘ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। বিশ্ববাসীর কাছে আবেদন জানাই, ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হোক।

 

 

বান্ধাইখাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম বিষয়ক সহকারি শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় শিশুদের হত্যার দৃশ্যে আমাদের সন্তানের মুখ আমরা দেখতে পাই, যা সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই। বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত দেহ আমাদের হৃদয়কেও ক্ষতবিক্ষত করে যাচ্ছে।

 

 

সেই তাড়না থেকে আজ দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছি। তিনি আরো বলেন, অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

 

 

বান্ধাইখাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক ছনি সরকার বলেন, ‘মানবতার ধোঁয়া তোলা যে সমস্ত শক্তিধর দেশগুলো মানবতার কথা বলে, তাদের ভিতরেই তো মানবতার লেশমাত্র নেই। মুখেই শুধু মানবতার কথা বলে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল জাতির কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, ফিলিস্তিনের গাজার শিশু-নারীসহ সকল জনগণের উপর নির্বিচারে যেভাবে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তা খুবই ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। ইতিহাস কী মুছে যাবে? নাকি করুণ ইতিহাস পৃথিবীর কাছে লজ্জিত হবে? সর্বোপরি এই গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি ।

 

 

দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বান্ধাইখাড়া টেকনিক্যাল কলেজের লাইব্রেরিয়ান জহুরুল ইসলাম বলেন, “একজন শিক্ষক হিসেবে শিশুদের চোখের দিকে তাকিয়ে আমি ভাবি, গাজার শিশুরাও তো আমাদেরই মতো। কিন্তু তারা প্রতিনিয়ত মৃত্যুভয়ে আছে।

 

আমরা নীরব থাকতে পারি না। এই দোয়া আমাদের বিবেকের প্রতিধ্বনি।