Dhaka ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালিয়াকৈর  ভাতিজা ও  তার স্ত্রীকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়েছে চাচা

 

 

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বেনুপুর এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে আপন ভাতিজা ও তার স্ত্রীকে কুপিয়েছে চাচা ও চাচাতো ভাই। এতে মাথায় গুরুত্বর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গাজীপুর তাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ভাতিজা জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হনুফা বেগম। গত সোমবার দুপুরে উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের বেনুপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে জহিরুল ইসলামের শালা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভোক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বেনুপুর এলাকার ইমান আলীর ছেলে আবুল হোসেনের সাথে তার আপন ভাইয়ের ছেলে ভাতিজা জহিরুল ইসলামের দীঘদিন যাবত জমি জমার বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ব শত্রুতার জেরে সোমবার দুপুরে হঠাৎ করে আবুল হোসেন ও তার ছেলে সিফাতের নেতৃত্বে অজ্ঞাত আরো কয়েকজন মিলে বাড়ীর সাথেই জহিরুল ইসলামের ঘরে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হনুফা বেগম তাদের ঘরের ভিতর শুয়ে ছিলেন। জহিরুল ও তার স্ত্রী কিছু বুজে উঠার অগেই তাদেরকে কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে এবং লোহার সাবল দিয়ে বারি দিয়ে হাত ভেঙ্গে ফেলে। এছাড়া সকল বিবাদী মিলে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাতœক জখম করে। এসময় বিবাদীরা ঘরের ভিতর ভাংচুর করে বিভিন্ন মালামাল ক্ষতিসাধন করে এবং ঘরের সুকেসের ড্রয়ার থেকে তিন লক্ষ টাকা ও সাড়ে তিন ভরি ওজনের স্বর্ন লুট করে নিয়ে যায়। পরে জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর ডাকচিৎকারে আশেপাশের মানুষ এগিয়ে আসলে বিবাদীরা বিষয়টি নিয়ে বেশী বারাবারি করলে খুন জখমের হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। পরে স্থানীয়রা এসে ঘরের মধ্যে মুমুর্ষ রক্তাক্ত অবস্থায় জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হনুফা বেগমকে দেখে উদ্ধার করে দ্রুত কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থার খুব খারাপ দেখতে পেয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে তাদেরকে তাৎক্ষনিক তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভতি করা হয়। সেখানে জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

জহিরুলের মেয়ে জ্যোতি জানায়, অতিরিক্ত গরমের কারনে দুপুরে আমার মা ও বাবা ঘরের ভিতর শুয়ে ছিল। হঠাৎ  আবুল হোসেন ও তার ছেলেসহ কয়েকজন আমাদের বাড়ীতে এসে কুড়াল, চাপাতি ও লোহার সাবল নিয়ে ঘরের ভিতর শুয়ে থাকা আমার মা-বাবার উপর হামলা চালায় এবং তাদেরকে এলোপাথারি কুপিয়ে মাথায় মারাতœক জখম করে এবং লোহার সাবল দিয়ে বারি দিয়ে আমার বাবার ডান হাত ভেঙ্গে দেয়।

এ ঘটনার বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আজিজুল ইসলাম জানান, অভিযোগের কপি আমি এখনো হাতে পাই নাই। অভিযোগের কপি হাতে পেলে তদন্ত কওে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে অভিযোগ কোন অভিযোগ হয়েছে কিনা জানতে কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াদ মাহমুদকে ফোন দিলে তিনি জানান, আমি থানায় নাই এবং অভিযোগের বিষয়ে আমি জানি না। তবে যে কোন স্থানে মারামারি হতেই পারে এখানে আমার কি করার আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

কালিয়াকৈর  ভাতিজা ও  তার স্ত্রীকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়েছে চাচা

Update Time : ১১:৪৫:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

 

 

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বেনুপুর এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে আপন ভাতিজা ও তার স্ত্রীকে কুপিয়েছে চাচা ও চাচাতো ভাই। এতে মাথায় গুরুত্বর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গাজীপুর তাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ভাতিজা জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হনুফা বেগম। গত সোমবার দুপুরে উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের বেনুপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে জহিরুল ইসলামের শালা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভোক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বেনুপুর এলাকার ইমান আলীর ছেলে আবুল হোসেনের সাথে তার আপন ভাইয়ের ছেলে ভাতিজা জহিরুল ইসলামের দীঘদিন যাবত জমি জমার বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ব শত্রুতার জেরে সোমবার দুপুরে হঠাৎ করে আবুল হোসেন ও তার ছেলে সিফাতের নেতৃত্বে অজ্ঞাত আরো কয়েকজন মিলে বাড়ীর সাথেই জহিরুল ইসলামের ঘরে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হনুফা বেগম তাদের ঘরের ভিতর শুয়ে ছিলেন। জহিরুল ও তার স্ত্রী কিছু বুজে উঠার অগেই তাদেরকে কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে এবং লোহার সাবল দিয়ে বারি দিয়ে হাত ভেঙ্গে ফেলে। এছাড়া সকল বিবাদী মিলে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাতœক জখম করে। এসময় বিবাদীরা ঘরের ভিতর ভাংচুর করে বিভিন্ন মালামাল ক্ষতিসাধন করে এবং ঘরের সুকেসের ড্রয়ার থেকে তিন লক্ষ টাকা ও সাড়ে তিন ভরি ওজনের স্বর্ন লুট করে নিয়ে যায়। পরে জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর ডাকচিৎকারে আশেপাশের মানুষ এগিয়ে আসলে বিবাদীরা বিষয়টি নিয়ে বেশী বারাবারি করলে খুন জখমের হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। পরে স্থানীয়রা এসে ঘরের মধ্যে মুমুর্ষ রক্তাক্ত অবস্থায় জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হনুফা বেগমকে দেখে উদ্ধার করে দ্রুত কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থার খুব খারাপ দেখতে পেয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে তাদেরকে তাৎক্ষনিক তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভতি করা হয়। সেখানে জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

জহিরুলের মেয়ে জ্যোতি জানায়, অতিরিক্ত গরমের কারনে দুপুরে আমার মা ও বাবা ঘরের ভিতর শুয়ে ছিল। হঠাৎ  আবুল হোসেন ও তার ছেলেসহ কয়েকজন আমাদের বাড়ীতে এসে কুড়াল, চাপাতি ও লোহার সাবল নিয়ে ঘরের ভিতর শুয়ে থাকা আমার মা-বাবার উপর হামলা চালায় এবং তাদেরকে এলোপাথারি কুপিয়ে মাথায় মারাতœক জখম করে এবং লোহার সাবল দিয়ে বারি দিয়ে আমার বাবার ডান হাত ভেঙ্গে দেয়।

এ ঘটনার বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আজিজুল ইসলাম জানান, অভিযোগের কপি আমি এখনো হাতে পাই নাই। অভিযোগের কপি হাতে পেলে তদন্ত কওে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে অভিযোগ কোন অভিযোগ হয়েছে কিনা জানতে কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াদ মাহমুদকে ফোন দিলে তিনি জানান, আমি থানায় নাই এবং অভিযোগের বিষয়ে আমি জানি না। তবে যে কোন স্থানে মারামারি হতেই পারে এখানে আমার কি করার আছে।