আরাকানের জন্য করিডোর একটা জাতিসংঘের মানবিক করিডোর। এই করিডর না দিলে সেখানে দুর্ভিক্ষ তৈরি হবে, ফলে সেখানে থাকা সাড়ে ছয় লক্ষ মানুষের জীবন বিপন্ন হবে এবং তারা জীবন বাচাতে বাংলাদেশে ছুটে আসবে। তখন বাংলাদেশে থাকা বার লক্ষ রোহিঙ্গাকে আরাকানে ফিরিয়ে নেওয়া অনিশ্চিত হবে।
ভারত চায় এই করিডর ভারতকে দেওয়া হোক। কারণ এই করিডর শুধু একটা করিডর নয় এটা একটা ভূরাজনৈতিক খেলারও অংশ। এই করিডরের মাধ্যমে ভারত জাতিসংঘ ও আমেরিকার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন মিথ্যা তত্ত্ব দিয়ে এই অঞ্চলের দাদাগিরি করতে চায়। সাথে বান্দরবন ও খাগড়াছড়ি আরাকান আর্মিকে দখলের জন্য অস্ত্র ও অর্থ দিতে চায়। কিন্তু ২৫ বছর আগে আরাকান আর্মির শীর্ষ ৫ নেতা ও তাদের ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে ভারত কৌশলে অস্ত্র ও অর্থ সহযোগিতা দেওয়ার জন্য আন্দামান দ্বীপে নিয়ে মিয়ানমার সরকারের কাছে বিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে। মিয়ানমার সরকার তাদের কাছ থেকে তথ্য অদায়ে নির্যাতন করতে করতে তাদেরকে হত্যা করে। এরপর থেকে আরাকান আর্মি ভারতকে বিন্দু মাত্র বিশ্বাস করে না।
অন্যদিকে চীন মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মি উভয়ের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করে তাদের বন্দর চালিয়ে নিচ্ছে।
সম্প্রতি আরাকান আর্মির সাথে বাংলাদেশ আর্মির একটা সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এখন যদি করিডর দেওয়া হয় তবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফেরত পাঠানো সহজ হবে এবং তারা অনেক অংশে বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। ফলে তারা এই অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে যা বাংলাদেশের জন্য খুবই প্রয়োজন।
কিন্তু ভারতের টাকায় চলা, ভারতের প্রাক্তন দালাল সিপিবি, ভারতের টাকা খেয়ে নানারকম মিথ্যা তথ্য দিয়ে অহেতুক ভয় ও আশংকা তৈরির চেষ্টা করছে। বিএনপিও বিরোধিতা করছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে ড. ইউনূস সরকারের এই যুগান্তকারী সাহসী সিদ্ধান্তকে বিতর্কিত করা। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে এই করিডোর দিতো এটা নিশ্চিত।
এই করিডোরের বিনিময়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে নানারকম সুবিধা নিতে পারবে। সঠিকভাবে দর কষাকষি করতে পারলে, এই করিডোর বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হবে