Dhaka ০৩:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুর ও ময়মনসিংহ সীমান্তে বিজিবি’র টহল জোরদার

ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার ৭৭.৭০ কিলোমিটার স্থল ও নদী সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টহল জোরদার করা হয়েছে। এতে

সীমান্তবাসীর মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে এসেছে।

 

বিজিবি’র দেয়া তথ্যমতে জানা গেছে, ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার ৭৩.০৫ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত এবং বাকি ৪.৬৫ কিলোমিটার নদী সীমান্ত পথ রয়েছে। এই স্থল ও নদী পথের সীমান্ত রক্ষায় ১৬টি বিওপি ক্যাম্পের মাধ্যমে অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছে ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি)। এ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সীমান্ত পথে নীরব নজরদারির পাশাপাশি বিজিবি’র টহল জোরদার করা হয়েছে।

 

ময়মনসিংহ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া এবং শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী উপজেলার বাসিন্দারা জানান, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ থাকলেও এই সীমান্ত এখনও স্বাভাবিক। তবে ভারত অংশে বিএসএফ আগে লাল হ্যালোজেন লাইট ব্যবহার করলেও এখন তাদেরকে উজ্জ্বল এলইডি লাইট ও ক্যামেরা এবং সেন্সর প্রতিস্থাপন করছে বলে দেখা যাচ্ছে। তারা আরও জানান, বিএসএফ যদি কোনো রকম তৎপরতা দেখায়, তাহলে স্থানীয় জনতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিজিবিকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করবে।

 

ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়নের (৩৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মাদ সানবীর হাসান মজুমদার জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নানা প্রকার ঘটনাকে ঘিরে সীমান্ত সুরক্ষা ও আধিপত্য বিস্তার জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সর্বদা সজাগ সতর্ক থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে হুঁশিয়ারি জারি করা হয়েছে। এছাড়াও অধিকতর টহল তৎপরতার জন্য সীমান্তে জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্ত পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

 

ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসকগণ জানান, ময়মনসিংহ ও শেরপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতকে ঘিরে আমাদের এদিকে কোনো সমস্যা যেন না হয় সে দিকে নজর রয়েছে। বিজিবি যখনই চাইবে, দেশের প্রয়োজনে সব প্রকার সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

শেরপুর ও ময়মনসিংহ সীমান্তে বিজিবি’র টহল জোরদার

Update Time : ১০:২৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার ৭৭.৭০ কিলোমিটার স্থল ও নদী সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টহল জোরদার করা হয়েছে। এতে

সীমান্তবাসীর মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে এসেছে।

 

বিজিবি’র দেয়া তথ্যমতে জানা গেছে, ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার ৭৩.০৫ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত এবং বাকি ৪.৬৫ কিলোমিটার নদী সীমান্ত পথ রয়েছে। এই স্থল ও নদী পথের সীমান্ত রক্ষায় ১৬টি বিওপি ক্যাম্পের মাধ্যমে অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছে ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি)। এ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সীমান্ত পথে নীরব নজরদারির পাশাপাশি বিজিবি’র টহল জোরদার করা হয়েছে।

 

ময়মনসিংহ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া এবং শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী উপজেলার বাসিন্দারা জানান, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ থাকলেও এই সীমান্ত এখনও স্বাভাবিক। তবে ভারত অংশে বিএসএফ আগে লাল হ্যালোজেন লাইট ব্যবহার করলেও এখন তাদেরকে উজ্জ্বল এলইডি লাইট ও ক্যামেরা এবং সেন্সর প্রতিস্থাপন করছে বলে দেখা যাচ্ছে। তারা আরও জানান, বিএসএফ যদি কোনো রকম তৎপরতা দেখায়, তাহলে স্থানীয় জনতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিজিবিকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করবে।

 

ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়নের (৩৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মাদ সানবীর হাসান মজুমদার জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নানা প্রকার ঘটনাকে ঘিরে সীমান্ত সুরক্ষা ও আধিপত্য বিস্তার জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সর্বদা সজাগ সতর্ক থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে হুঁশিয়ারি জারি করা হয়েছে। এছাড়াও অধিকতর টহল তৎপরতার জন্য সীমান্তে জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্ত পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

 

ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসকগণ জানান, ময়মনসিংহ ও শেরপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতকে ঘিরে আমাদের এদিকে কোনো সমস্যা যেন না হয় সে দিকে নজর রয়েছে। বিজিবি যখনই চাইবে, দেশের প্রয়োজনে সব প্রকার সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তারা।