Dhaka ০৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি: চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপরে

শেরপুর জেলায় টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমেশ্বরী নদীর পানিও বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। অন্যদিকে মহারশি, ভোগাই ও মালিঝি নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচে থাকলেও ক্রমাগত পানি বাড়ছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টার তথ্য অনুযায়ী,শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপরে,ভোগাই নদী (নকুগাঁও পয়েন্ট) বিপদসীমার ৩৭৯ সেন্টিমিটার নিচে,নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ২৫৭ সেন্টিমিটার নিচে এবং পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে বিপদসীমার ৬৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। ঝিনাইগাতী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা সড়কের কাড়াগাঁও বটতলা বাজার এলাকায় সোমেশ্বরী নদীর পানি রাস্তার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নির্মাণাধীন চাপাতলী সেতুর উভয় পাশের রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় বাগেরভিটা এলাকায় কয়েকটি দোকান,ও বোরোধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝিনাইগাতী নয়াগাঁও মাজার সংলগ্ন কবরস্থান এলাকায় ঝুরার পানিতে রাস্তা তলিয়ে গেছে। ফলে ক্ষেতের পাঁকা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।বাঁকাকুড়া ও ফুলহারির মধ্যবর্তী এলাকায় পাহাড়ি ঝর্ণার পানি উপচে ফসলের মাঠে পানি ঢুকছে। মহারশি নদীর পানি বেড়েই চলেছে। দীঘিরপাড় ফাযিল মাদ্রাসা এলাকায় নদীর পাড় ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। মালিঝি নদীর পানিও বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামালের জানান বুধবার (২১ মে) দুপুর পর্যন্ত হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। ভারতের আসাম ও মেঘালয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হলে নালিতাবাড়ীর নদনদীতে পানি আরও বাড়তে পারে এবং বন্যার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে,২০ মে পর্যন্ত জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে, যা জনজীবন ও কৃষিতে ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।জেলা কৃষি বিভাগ এরই মধ্যে কৃষকদের পাকা ধান দ্রুত কেটে উঁচু স্থানে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিংসহ প্রশাসনিক প্রস্তুতি চলছে।ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আশরাফুল আলম রাসেল বলেন,“বৃষ্টি ও উজানের পানিতে নদনদীর পানি বেড়েছে। তবে এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সম্ভাব্য বন্যা মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

শেরপুরে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি: চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপরে

Update Time : ১২:০৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

শেরপুর জেলায় টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমেশ্বরী নদীর পানিও বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। অন্যদিকে মহারশি, ভোগাই ও মালিঝি নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচে থাকলেও ক্রমাগত পানি বাড়ছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টার তথ্য অনুযায়ী,শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপরে,ভোগাই নদী (নকুগাঁও পয়েন্ট) বিপদসীমার ৩৭৯ সেন্টিমিটার নিচে,নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ২৫৭ সেন্টিমিটার নিচে এবং পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে বিপদসীমার ৬৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। ঝিনাইগাতী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা সড়কের কাড়াগাঁও বটতলা বাজার এলাকায় সোমেশ্বরী নদীর পানি রাস্তার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নির্মাণাধীন চাপাতলী সেতুর উভয় পাশের রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় বাগেরভিটা এলাকায় কয়েকটি দোকান,ও বোরোধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝিনাইগাতী নয়াগাঁও মাজার সংলগ্ন কবরস্থান এলাকায় ঝুরার পানিতে রাস্তা তলিয়ে গেছে। ফলে ক্ষেতের পাঁকা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।বাঁকাকুড়া ও ফুলহারির মধ্যবর্তী এলাকায় পাহাড়ি ঝর্ণার পানি উপচে ফসলের মাঠে পানি ঢুকছে। মহারশি নদীর পানি বেড়েই চলেছে। দীঘিরপাড় ফাযিল মাদ্রাসা এলাকায় নদীর পাড় ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। মালিঝি নদীর পানিও বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামালের জানান বুধবার (২১ মে) দুপুর পর্যন্ত হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। ভারতের আসাম ও মেঘালয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হলে নালিতাবাড়ীর নদনদীতে পানি আরও বাড়তে পারে এবং বন্যার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে,২০ মে পর্যন্ত জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে, যা জনজীবন ও কৃষিতে ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।জেলা কৃষি বিভাগ এরই মধ্যে কৃষকদের পাকা ধান দ্রুত কেটে উঁচু স্থানে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিংসহ প্রশাসনিক প্রস্তুতি চলছে।ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আশরাফুল আলম রাসেল বলেন,“বৃষ্টি ও উজানের পানিতে নদনদীর পানি বেড়েছে। তবে এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সম্ভাব্য বন্যা মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে