Dhaka ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চন্দ্রা বনবিটের বন খেকু হাসেম মালিকে  অন্যত্র বদলি, অন্যান্যরা বহাল তবিয়াতে 

 

 

গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রা বন বিটের মালি নানা অনিয়ম দুর্নীতির মুলহোতা হাসেম মাতবরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় দুর্নীতির সংবাদ প্রচার হওয়ার পর অবশেষে তাকে চন্দ্র থেকে ময়মনসিংহে সংযুক্ত করা হয়েছে। হাসেম মাতবরকে ময়মনসিংহ বন বিভাগের ভালুকা রেঞ্জে সংযুক্তি  করা হলেও বহাল তবিয়তে রয়েছে নাটের গুরু বিট অফিসার ইকবালসহ অন্যরা।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই রেঞ্জের আশপাশেই দুই থেকে তিন শত মিটারের মধ্যেই গজারি বা শাল গাছ নষ্ট করে প্রতিদিন জবরদখল হচ্ছে সরকারি বনের জমি।   চন্দ্রা ত্রিমুর সংলগ্ন চন্দ্রা রেঞ্জ অফিস ও বিট অফিস একই জায়গায় অবস্থিত। দুটি অফিসের আশপাশে প্রতি শতাংশ জমির মূল্য ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। এসব মূল্যবান জমি দুটি অফিসের কর্মরত লোকজনদের সহযোগিতায় প্রতিনিয়ত জবরদখল হচ্ছে। এসব জমি দখল করে একটি ১০ হাত প্রস্থ ২০ হাত  ঘর তুলতে ফরেস্টের লোকজনদেরকে দিতে হয় ৫০ থেকে ২ লাখ টাকা, এর সাথে স্থানীয় দালাল ও কতিপয় নেতাদের দিতে হয় ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা।

 

বাগান মালি হাসিম মাতবরকে অন্যত্র সংযুক্ত করা হলেও থেমে নেই বনের এসব জমি জবর দখল ।  সরকারি জমি রক্ষা করাতো দুরের কথা  চন্দ্রা রেঞ্জের আওতাধীন বিট গুলোতে থামছেই

 

না বনের জমি জবরদখল। এ দুটি রেঞ্জের আওতাধীন বিট গুলোতে দালালদের মাধ্যমে টাকা দিয়ে প্রতিনিয়ত জবরদখল হচ্ছে বনবিভাগের মূল্যবান সরকারি জমি। মাঝে মধ্যে ডাকঢোল পিটিয়ে দু-একটি বড় অভিযান করলেও রেঞ্জ ও বিট অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকতার্দের যোগসাজস ও দালালদের তৎপড়তার কারনে বনের জমি জবর দখল কোন ভাবেই যেন থামছে না।

 

জানা গেছে, গত ৫ আগষ্ট পর থেকে বনের জমি জবরদখলের হিড়িক পড়ে যায়। গত কয়েক মাসে চন্দ্রা রেঞ্জের আওতায় রেঞ্জের কর্মরত কর্মকর্তাহ বন প্রহরীদের জোকসাজসে বনের জমিতে প্রায় কয়েক শত

 

বাড়ীঘর, দোকান ও মার্কেট নিমার্ন করে জবরদখলকারীরা। তার

 

মধ্যে চন্দ্রা বিটে সবচেয়ে বেশী বনের জমি জবরদখল করা হয়।

 

এসব জবরদখোরের সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের  কয়েক মাস পর রেঞ্জের বিট অফিস গুলো সক্রিয় হয়ে মাটি কাটা রেল-লাইন ও পরে সিনাবহ বাজারে বড় ধরনের দুটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

অভিযানের পরও থেমে নেই বনের জমি জবরদখল। এলাকার সচেতন মহল এর কারন হিসেবে বর্তমানে চন্দ্রা রেঞ্জ ও বিট অফিসের কর্মকতার্দেরকেই দায়ী করছেন। এদের কারনে প্রতিনিয়ত জবরদখল হচ্ছে বনবিভাগের জমি।

 

তারা মনে করেন বিট অফিসের কতিপয় অসাধু কিছু কর্মকর্তার যোগসাজসে টাকার বিনিময়ে বনের জমি দখল করে নিমার্ন করা হচ্ছে

 

পাকা বাড়ীঘরসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। কালিয়াকৈর রেঞ্জের চন্দ্রা বিটের বিভিন্ন

 

এলাকায় বনের জমি দখল করে আধাপাকা ঘরবাড়ি উঠছে  ।

 

এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবা করলে তার নামে বন  মামলা দিয়ে  হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে।

 

বিটের লোকজনদেরকে টাকা না দিয়ে বাড়ি ঘর তো দূরের কথা রেকর্ডের  জমিতে থাকা ঘরবাড়িতে বনের জমির  উপর রাস্তা দিয়ে মানুষ যেতে পারে না।

 

অপরদিকে রেঞ্জের সামনে মাত্র ৫০ গজ দুরে সিপি কারখানার কর্তৃপক্ষ  বনের জমি দখল করে গাড়ী পার্কিং স্টেশন নির্মাণ ও রাস্তা করে ব্যবহার করছে।

 

কালিয়াকৈর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম শাকিল জানান,বনের জমির জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং  এটা চলমান প্রক্রিয়া।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

চন্দ্রা বনবিটের বন খেকু হাসেম মালিকে  অন্যত্র বদলি, অন্যান্যরা বহাল তবিয়াতে 

Update Time : ০১:৫৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

 

 

গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রা বন বিটের মালি নানা অনিয়ম দুর্নীতির মুলহোতা হাসেম মাতবরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় দুর্নীতির সংবাদ প্রচার হওয়ার পর অবশেষে তাকে চন্দ্র থেকে ময়মনসিংহে সংযুক্ত করা হয়েছে। হাসেম মাতবরকে ময়মনসিংহ বন বিভাগের ভালুকা রেঞ্জে সংযুক্তি  করা হলেও বহাল তবিয়তে রয়েছে নাটের গুরু বিট অফিসার ইকবালসহ অন্যরা।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই রেঞ্জের আশপাশেই দুই থেকে তিন শত মিটারের মধ্যেই গজারি বা শাল গাছ নষ্ট করে প্রতিদিন জবরদখল হচ্ছে সরকারি বনের জমি।   চন্দ্রা ত্রিমুর সংলগ্ন চন্দ্রা রেঞ্জ অফিস ও বিট অফিস একই জায়গায় অবস্থিত। দুটি অফিসের আশপাশে প্রতি শতাংশ জমির মূল্য ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। এসব মূল্যবান জমি দুটি অফিসের কর্মরত লোকজনদের সহযোগিতায় প্রতিনিয়ত জবরদখল হচ্ছে। এসব জমি দখল করে একটি ১০ হাত প্রস্থ ২০ হাত  ঘর তুলতে ফরেস্টের লোকজনদেরকে দিতে হয় ৫০ থেকে ২ লাখ টাকা, এর সাথে স্থানীয় দালাল ও কতিপয় নেতাদের দিতে হয় ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা।

 

বাগান মালি হাসিম মাতবরকে অন্যত্র সংযুক্ত করা হলেও থেমে নেই বনের এসব জমি জবর দখল ।  সরকারি জমি রক্ষা করাতো দুরের কথা  চন্দ্রা রেঞ্জের আওতাধীন বিট গুলোতে থামছেই

 

না বনের জমি জবরদখল। এ দুটি রেঞ্জের আওতাধীন বিট গুলোতে দালালদের মাধ্যমে টাকা দিয়ে প্রতিনিয়ত জবরদখল হচ্ছে বনবিভাগের মূল্যবান সরকারি জমি। মাঝে মধ্যে ডাকঢোল পিটিয়ে দু-একটি বড় অভিযান করলেও রেঞ্জ ও বিট অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকতার্দের যোগসাজস ও দালালদের তৎপড়তার কারনে বনের জমি জবর দখল কোন ভাবেই যেন থামছে না।

 

জানা গেছে, গত ৫ আগষ্ট পর থেকে বনের জমি জবরদখলের হিড়িক পড়ে যায়। গত কয়েক মাসে চন্দ্রা রেঞ্জের আওতায় রেঞ্জের কর্মরত কর্মকর্তাহ বন প্রহরীদের জোকসাজসে বনের জমিতে প্রায় কয়েক শত

 

বাড়ীঘর, দোকান ও মার্কেট নিমার্ন করে জবরদখলকারীরা। তার

 

মধ্যে চন্দ্রা বিটে সবচেয়ে বেশী বনের জমি জবরদখল করা হয়।

 

এসব জবরদখোরের সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের  কয়েক মাস পর রেঞ্জের বিট অফিস গুলো সক্রিয় হয়ে মাটি কাটা রেল-লাইন ও পরে সিনাবহ বাজারে বড় ধরনের দুটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

অভিযানের পরও থেমে নেই বনের জমি জবরদখল। এলাকার সচেতন মহল এর কারন হিসেবে বর্তমানে চন্দ্রা রেঞ্জ ও বিট অফিসের কর্মকতার্দেরকেই দায়ী করছেন। এদের কারনে প্রতিনিয়ত জবরদখল হচ্ছে বনবিভাগের জমি।

 

তারা মনে করেন বিট অফিসের কতিপয় অসাধু কিছু কর্মকর্তার যোগসাজসে টাকার বিনিময়ে বনের জমি দখল করে নিমার্ন করা হচ্ছে

 

পাকা বাড়ীঘরসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। কালিয়াকৈর রেঞ্জের চন্দ্রা বিটের বিভিন্ন

 

এলাকায় বনের জমি দখল করে আধাপাকা ঘরবাড়ি উঠছে  ।

 

এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবা করলে তার নামে বন  মামলা দিয়ে  হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে।

 

বিটের লোকজনদেরকে টাকা না দিয়ে বাড়ি ঘর তো দূরের কথা রেকর্ডের  জমিতে থাকা ঘরবাড়িতে বনের জমির  উপর রাস্তা দিয়ে মানুষ যেতে পারে না।

 

অপরদিকে রেঞ্জের সামনে মাত্র ৫০ গজ দুরে সিপি কারখানার কর্তৃপক্ষ  বনের জমি দখল করে গাড়ী পার্কিং স্টেশন নির্মাণ ও রাস্তা করে ব্যবহার করছে।

 

কালিয়াকৈর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম শাকিল জানান,বনের জমির জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং  এটা চলমান প্রক্রিয়া।