গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার উত্তরপাড়ায় সাংবাদিকদের সামনে সরগাক্ষভারী মোঃ সোহেল মিয়া (৩২) ও তার মা বিউটি আক্তার সুইটির (৫৫) উপর সংঘবদ্ধ হামলা, ছিনতাই এবং হত্যার হুমকির ঘটনা ঘটেছে। হামলায় গুরুতর আহত সোহেল বর্তমানে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন এবং তার মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ মে ২০২৫, দুপুর আনুমানিক ১২:৩০ মিনিটে, শ্রীপুর ভূঁইয়াবাড়ী মোড়ে জনৈক নাসিরের মুদি দোকানের সামনে। অভিযোগকারী সোহেল জানান, তিনি দোকানের সামনে সাংবাদিকদের দেখে পরিচয় জানতে গেলে, কিছুক্ষণ পর ১১ জন নামীয় ও আরও ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রসহ সেখানে এসে তার উপর অতর্কিতে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা লোহার রড, লাঠি, দা ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে এলোপাতাড়ি মারধর করে। সাংবাদিকরা এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন— রাজু, শাহজাহান, মানিক মিয়া, সাহিদ, ফয়সাল, মিনহাজ, জীম, রাকিব, বাচ্চু, কোছিবুর ও মিনা।
অভিযোগে বলা হয়, ১নং অভিযুক্ত রাজু লাঠি দিয়ে সোহেলের পিঠে আঘাত করেন এবং ২নং অভিযুক্ত শাহজাহান তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। সোহেলের চিৎকার শুনে তার মা এগিয়ে এলে তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। ৪নং অভিযুক্ত মানিক তার মায়ের মাথায় আঘাত করতে গিয়ে তার বাঁ হাতে আঘাত করলে হাড় ভেঙে যায়।
এছাড়া ৫নং অভিযুক্ত ফয়সাল সোহেলের গলা থেকে এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন (মূল্য আনুমানিক ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেন। হামলার সময় সাংবাদিকদের দুইটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে ভেঙে ফেলা হয় এবং ফোনের সিম ও মেমোরি কার্ড নিয়ে নেয় অভিযুক্ত ফয়সাল ও সিয়াম।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, হামলাকারীরা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলে— “সুযোগ পেলে রাস্তায় পেয়ে হত্যা করবো, লাশ গুম করবো, বাড়িঘর ভাঙচুর করবো, এবং নিজেরাই গায়েবি ঘটনা সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেবো।”
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা মুক্তার বলেন শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”