ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারের লোক পরিচয়ে ওটিপি নিয়ে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাৎ চক্রের মূলহোতা সিআইডি কর্তৃক গ্রেফতার
ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারের লোক পরিচয়ে ওটিপি নিয়ে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাৎ করা চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম রুহুল আমিন (৪২),পিতা- সেখ তারা মিয়া,মাতা- আমেরুন্নেসা,ঠিকানা-গ্রাম- খালাসী ডাঙ্গি,থানা- চরভদ্রাসন জেলা- ফরিদপুর।
বাদী তার এজাহারে জানান যে, তিনি একজন ব্যবসায়ী এবং ঢাকার একটি বেসরকারি ব্যাংকের মৌচাক শাখায় তার একটি ব্যাংক হিসাব খোলা রয়েছে। গত ২৪/০৩/২০২৫ খ্রি.তারিখ বিকালে ঢাকার মগবাজার মোড়ে অবস্থানকালীন সময়ে প্রতারক চক্রের এক অজ্ঞাতনামা সদস্য বাদীর মোবাইলে কল দিয়ে নিজেকে ঐ ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারের লোক পরিচয় দেয় এবং বলে যে, বাদীর ব্যাংক হিসাবে কিছু টাকা ক্রেডিট হবে, তাই বাদীর ব্যাংকে দেওয়া মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি আসবে যা তাদেরকে দিতে হবে। বাদী সরল বিশ্বাসে ওটিপি প্রতারক চক্রকে প্রদান করার পর বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পৃথক পৃথক লেনদেনের সর্বমোট ৮,৪০,০০০/- (আট লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা কৌশলে ট্রান্সফার করে নেয়। এতদসংক্রান্তে রমনা মডেল থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-২৫/০৩/২০২৫ খ্রি. ধারা- পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৪০৬/৪১৯/৪২০ রুজু হয়। মামলাটির তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হলে সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ ইউনিট মামলাটিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সূত্রের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তদন্তে প্রাপ্ত অভিযুক্ত রুহুল আমিন (৪২)কে সনাক্তপূর্বক ফরিদপুর জেলা পুলিশের সহায়তায় অদ্য ০৪/০৬/২০২৫ খ্রি. সকাল ০৯.০০ ঘটিকায় ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। অভিযুক্তকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলমান।
মামলাটি বর্তমানে সিআইডি এর ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ ইউনিট এ তদন্তাধীন রয়েছে। প্রতারক চক্রের অপরাপর সদস্যদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।