Dhaka ১২:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুর লিবাস কারখানার ডাস্টে এলাকাবাসী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত

 

 

 

গাজীপুর মহানগরের বাসন এলাকায় চান্দনা চৌরাস্তার পূর্ব পার্শ্বে লান্তাবুর গ্রুপের লিবাস উৎপাদনমুখী কারখানার আশপাশ এলাকার দীর্ঘদিন যাবৎ ডাস্টের কারনে জনগণ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যদিও কারখানাটির বিরুদ্ধে গত বছরে একাধিক সংবাদ প্রকাশের পর তাঁরা উক্ত ময়লা/ডাস্ট বাহিরে না যাওযার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানায়। কিন্তু অদ্যবদি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। এমনকি বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর পুরোনো জেনারেটর চালিয়ে কারখানাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। পুরোনো জেনারেটরের বিকট শব্দে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পরে এবং কারখানার আশপাশ এলাকার স্কুল পড়ুযা ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণের শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়াসহ বিভিন্ন ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে গাজীপুর সিভিল সার্জন জানান, শব্দ দুশনের ফলে, শিশুদের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে, কর্ণকোঠরে সমস্যা হতে পারে, মাথা ধরতে পারে, কাজের সমস্যা হতে পারে, ঝিমঝিম ভাবসহ বমি হতে পারে এবং ডাস্টের কারণে এলার্জি, চর্মরোগ ও শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধিসহ পরিবেশের ক্ষতিসাধন হতে পারে। গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আরেফিন বাদল জানান, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন কিন্তু সময়ের প্রয়োজন। প্রকাশ থাকে যে, গণমাধ্যমকর্মী কোন বিষয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আরেফিন বাদলকে অবহিত করিলে বা কোন কিছু জানতে চাহিলে অথবা অবৈধ কলকারখানা, পলি কারখানা বা শব্দ দুশনের মতো ক্ষতিকারক বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করিতে বলিলে তিনি কালক্ষেপন করেন। গণমাধ্যমকে সহয়তা করা আরেফিন বাদলের জন্য অসহনীয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লিবাস কারখানার একজন অফিসার জানান, তারা পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ্ড করেই এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে উপঢৌকন হিসাবে বিভিন্ন সময় কয়েকটি শার্ট, পেন্ট ও টি-শার্ট/পোলো-শার্ট উপহার দেওয়া হয়। এ কারনে পরিবেশ অধিদপ্তর কিছুই করবে না। কিন্তু আরেফিন বাদল জানান, সকল সাংবাদিকের একটি কমন ডায়ালগ যা পরিবেশ অধিদপ্তর ম্যানেজ্ড করেই এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আরেফিন বাদল ইহা শুনতে নারাজ।

এছাড়াও লিবাস কারখানায় নিয়োগ ক্ষেত্রে চলে অবৈধ টাকার লেনদেন। ঘুষ না দিলে মিলে না লিবাসে চাকুরী। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (এইচ,আর এডমিন) জুয়েল, ফ্লোর ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী, কাটিং ম্যানেজারের উক্ত অবৈধ টাকা লেনদেনের সংপৃক্তা পাওয়া যায়।

দিনের পর দিন কিভাবে উক্ত কারখানায় এসকল অপরাধ বা অপকর্ম করে কারখানাটি চালু রেখেছেন তাহা এলাকাবাসীর প্রশ্ন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

গাজীপুর লিবাস কারখানার ডাস্টে এলাকাবাসী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত

Update Time : ০৪:০২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

 

 

 

গাজীপুর মহানগরের বাসন এলাকায় চান্দনা চৌরাস্তার পূর্ব পার্শ্বে লান্তাবুর গ্রুপের লিবাস উৎপাদনমুখী কারখানার আশপাশ এলাকার দীর্ঘদিন যাবৎ ডাস্টের কারনে জনগণ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যদিও কারখানাটির বিরুদ্ধে গত বছরে একাধিক সংবাদ প্রকাশের পর তাঁরা উক্ত ময়লা/ডাস্ট বাহিরে না যাওযার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানায়। কিন্তু অদ্যবদি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। এমনকি বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর পুরোনো জেনারেটর চালিয়ে কারখানাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। পুরোনো জেনারেটরের বিকট শব্দে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পরে এবং কারখানার আশপাশ এলাকার স্কুল পড়ুযা ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণের শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়াসহ বিভিন্ন ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে গাজীপুর সিভিল সার্জন জানান, শব্দ দুশনের ফলে, শিশুদের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে, কর্ণকোঠরে সমস্যা হতে পারে, মাথা ধরতে পারে, কাজের সমস্যা হতে পারে, ঝিমঝিম ভাবসহ বমি হতে পারে এবং ডাস্টের কারণে এলার্জি, চর্মরোগ ও শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধিসহ পরিবেশের ক্ষতিসাধন হতে পারে। গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আরেফিন বাদল জানান, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন কিন্তু সময়ের প্রয়োজন। প্রকাশ থাকে যে, গণমাধ্যমকর্মী কোন বিষয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আরেফিন বাদলকে অবহিত করিলে বা কোন কিছু জানতে চাহিলে অথবা অবৈধ কলকারখানা, পলি কারখানা বা শব্দ দুশনের মতো ক্ষতিকারক বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করিতে বলিলে তিনি কালক্ষেপন করেন। গণমাধ্যমকে সহয়তা করা আরেফিন বাদলের জন্য অসহনীয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লিবাস কারখানার একজন অফিসার জানান, তারা পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ্ড করেই এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে উপঢৌকন হিসাবে বিভিন্ন সময় কয়েকটি শার্ট, পেন্ট ও টি-শার্ট/পোলো-শার্ট উপহার দেওয়া হয়। এ কারনে পরিবেশ অধিদপ্তর কিছুই করবে না। কিন্তু আরেফিন বাদল জানান, সকল সাংবাদিকের একটি কমন ডায়ালগ যা পরিবেশ অধিদপ্তর ম্যানেজ্ড করেই এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আরেফিন বাদল ইহা শুনতে নারাজ।

এছাড়াও লিবাস কারখানায় নিয়োগ ক্ষেত্রে চলে অবৈধ টাকার লেনদেন। ঘুষ না দিলে মিলে না লিবাসে চাকুরী। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (এইচ,আর এডমিন) জুয়েল, ফ্লোর ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী, কাটিং ম্যানেজারের উক্ত অবৈধ টাকা লেনদেনের সংপৃক্তা পাওয়া যায়।

দিনের পর দিন কিভাবে উক্ত কারখানায় এসকল অপরাধ বা অপকর্ম করে কারখানাটি চালু রেখেছেন তাহা এলাকাবাসীর প্রশ্ন।