Dhaka ১০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে সদর পুলিশের ওপর চাঁদাবাজদের হামলা, গ্রেপ্তার ৪

 

 

গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ী এলাকায় পুলিশের ওপর চাঁদা বাজদের হামলার আলোচিত ঘটনায় জড়িত ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে জিএমপি সদর থানা পুলিশ। গত শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এঘটনায় পুলিশের এসআইসহ তিন জন আহত হয়েছে।

 

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হল- গাজীপুর সদর থানার পশ্চিম জয়দেবপুর এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে মামুন, ভুরুলিয়া এলাকার মৃত ওহাব শিকদারের ছেলে আলমগীর, উত্তর বিলাসপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মুন্না এবং পুবাইল থানার কলের বাজার এলাকার মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন। তাদেরকে শিববাড়ী থেকে গ্রেফতার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার এসআই উজ্জ্বল।

 

জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদা চাঁদা বাজি করার বিষয়ে জানতে পেরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রবিউল হাসানের দিক-নির্দেশনায়, এডিসি রবিউল ইসলাম ও সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার দ্বীন-ই-আলমের নেতৃত্বে ট্রাফিক সার্জেন্টসহ সদর থানা পুলিশ অভিযানে যায়। এসময় চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চাঁদাবাজরা ক্ষীপ্ত হয়ে পুলিশের সাথে উদ্ধতপূর্ণ খারাপ আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে অবৈধভাবে রাস্তায় রাখা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস গাড়ী রাখার অপরাধে ট্রাফিক সার্জেন্ট এর মাধ্যমে মামলা দেওয়া শুরু করলে আসামীরা বেআইনী জনতাবদ্ধে সরকারী কর্তব্য কাজে বাধা দিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়ে পুলিশকে কটাক্ষ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে আসামীরা পুলিশের সাথে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। আসামীদের মারপিটের ফলে এসআই মোঃ আবুল কাশেম, কনস্টেবল মোঃ জাকির হোসেন ও মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাকিব আহত হয়।

 

পুলিশ জানায়, এঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদেরকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে ‘অবৈধ ভাবে প্রাইভেটকার, মাইক্রো স্ট্যান্ড ও বাস স্ট্যান্ড বসিয়ে প্রতিদিন চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায় করার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

 

এবিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মেহেদী হাসান জানান, চাঁদাবাজি ও পুলিশের সরকারী কাজে বাধা প্রদান করে সরকারী কর্মচারীদের উপর আক্রমণ ও আঘাত করায় গ্রেফতারকৃত আসামীসহ অপরাপর পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। রাস্তা দখল করে চাঁদা বাজদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইনের ব্যর্থয় হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

গাজীপুরে সদর পুলিশের ওপর চাঁদাবাজদের হামলা, গ্রেপ্তার ৪

Update Time : ০৯:৪৭:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

 

 

গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ী এলাকায় পুলিশের ওপর চাঁদা বাজদের হামলার আলোচিত ঘটনায় জড়িত ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে জিএমপি সদর থানা পুলিশ। গত শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এঘটনায় পুলিশের এসআইসহ তিন জন আহত হয়েছে।

 

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হল- গাজীপুর সদর থানার পশ্চিম জয়দেবপুর এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে মামুন, ভুরুলিয়া এলাকার মৃত ওহাব শিকদারের ছেলে আলমগীর, উত্তর বিলাসপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মুন্না এবং পুবাইল থানার কলের বাজার এলাকার মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন। তাদেরকে শিববাড়ী থেকে গ্রেফতার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার এসআই উজ্জ্বল।

 

জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদা চাঁদা বাজি করার বিষয়ে জানতে পেরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রবিউল হাসানের দিক-নির্দেশনায়, এডিসি রবিউল ইসলাম ও সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার দ্বীন-ই-আলমের নেতৃত্বে ট্রাফিক সার্জেন্টসহ সদর থানা পুলিশ অভিযানে যায়। এসময় চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চাঁদাবাজরা ক্ষীপ্ত হয়ে পুলিশের সাথে উদ্ধতপূর্ণ খারাপ আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে অবৈধভাবে রাস্তায় রাখা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস গাড়ী রাখার অপরাধে ট্রাফিক সার্জেন্ট এর মাধ্যমে মামলা দেওয়া শুরু করলে আসামীরা বেআইনী জনতাবদ্ধে সরকারী কর্তব্য কাজে বাধা দিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়ে পুলিশকে কটাক্ষ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে আসামীরা পুলিশের সাথে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। আসামীদের মারপিটের ফলে এসআই মোঃ আবুল কাশেম, কনস্টেবল মোঃ জাকির হোসেন ও মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাকিব আহত হয়।

 

পুলিশ জানায়, এঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদেরকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে ‘অবৈধ ভাবে প্রাইভেটকার, মাইক্রো স্ট্যান্ড ও বাস স্ট্যান্ড বসিয়ে প্রতিদিন চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায় করার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

 

এবিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মেহেদী হাসান জানান, চাঁদাবাজি ও পুলিশের সরকারী কাজে বাধা প্রদান করে সরকারী কর্মচারীদের উপর আক্রমণ ও আঘাত করায় গ্রেফতারকৃত আসামীসহ অপরাপর পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। রাস্তা দখল করে চাঁদা বাজদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইনের ব্যর্থয় হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।