Dhaka ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শারীরিক প্রতিবন্ধী কিছু না মানসিক শক্তি দিয়েই আজ বিসিএস ক্যাডার উল্লাস পাল 

 

 

নাম উল্লাস পাল। ৪৪তম বিসিএসের ফলাফলে প্রশাসন ক্যাডার হয়েছেন। জন্মগতভাবেই শাররীক প্রতিবন্ধী। কিন্তু শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য প্রতিবন্ধী কোটা নেননি।

 

এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৪৬৩তম হয়ে ভর্তি হন ব্যবস্থাপনা বিভাগে।

 

কারো করুণা নিয়ে নয়, সবার সাথে প্রতিযোগিতা করেই ভর্তি হয়েছেন।

 

জন্মগতভাবেই দুই হাত-পা বাঁকা। অনেক চিকিৎসা করেছেন তার পরিবার কিন্তু স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারেনি। বাবা নিজে তাকে স্কুলে নিয়ে গেছেন, মায়ের স্নেহে নিজের মেধাকে শান দিয়েছেন।

 

৪০তম, ৪১তম ও ৪৩তম বিসিএসে অংশ নেন নিজেকে প্রস্তুত করতে। ৪০তম পাস করেও কোনো পদ পাননি। অনেকটাই হতাশ হন। ৪১তম বিসিএসে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে সুপারিশ পান।

 

পরে ৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে নড়িয়া সরকারি কলেজে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু তার স্বপ্ন যেনো তখনো অপূর্ণতা। কারণ তার জীবনের চূড়ান্ত ইচ্ছে প্রশাসন ক্যাডার হওয়া। তার স্বপ্ন ছিল প্রশাসন ক্যাডার হওয়া।

 

আর সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন তিঁনি। অভিনন্দন ভাই উল্লাস। জীবন এমনি, নিজের ইচ্ছে আর চূড়ান্ত শক্তিতে নিজেকে এগিয়ে নিতে হয়।

 

প্রশাসনে বিসিএস ক্যাডার তিনি হননি, হয়েছেন তার মা-বাবা। পরিবারে কত রকমের কথা শুনতে হয়েছে, কাছের মানুষদের কাছে। আজ তারা দেখুক, উল্লাস প্রশাসনে বিসিএস ক্যাডার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

শারীরিক প্রতিবন্ধী কিছু না মানসিক শক্তি দিয়েই আজ বিসিএস ক্যাডার উল্লাস পাল 

Update Time : ০১:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

 

 

নাম উল্লাস পাল। ৪৪তম বিসিএসের ফলাফলে প্রশাসন ক্যাডার হয়েছেন। জন্মগতভাবেই শাররীক প্রতিবন্ধী। কিন্তু শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য প্রতিবন্ধী কোটা নেননি।

 

এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৪৬৩তম হয়ে ভর্তি হন ব্যবস্থাপনা বিভাগে।

 

কারো করুণা নিয়ে নয়, সবার সাথে প্রতিযোগিতা করেই ভর্তি হয়েছেন।

 

জন্মগতভাবেই দুই হাত-পা বাঁকা। অনেক চিকিৎসা করেছেন তার পরিবার কিন্তু স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারেনি। বাবা নিজে তাকে স্কুলে নিয়ে গেছেন, মায়ের স্নেহে নিজের মেধাকে শান দিয়েছেন।

 

৪০তম, ৪১তম ও ৪৩তম বিসিএসে অংশ নেন নিজেকে প্রস্তুত করতে। ৪০তম পাস করেও কোনো পদ পাননি। অনেকটাই হতাশ হন। ৪১তম বিসিএসে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে সুপারিশ পান।

 

পরে ৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে নড়িয়া সরকারি কলেজে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু তার স্বপ্ন যেনো তখনো অপূর্ণতা। কারণ তার জীবনের চূড়ান্ত ইচ্ছে প্রশাসন ক্যাডার হওয়া। তার স্বপ্ন ছিল প্রশাসন ক্যাডার হওয়া।

 

আর সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন তিঁনি। অভিনন্দন ভাই উল্লাস। জীবন এমনি, নিজের ইচ্ছে আর চূড়ান্ত শক্তিতে নিজেকে এগিয়ে নিতে হয়।

 

প্রশাসনে বিসিএস ক্যাডার তিনি হননি, হয়েছেন তার মা-বাবা। পরিবারে কত রকমের কথা শুনতে হয়েছে, কাছের মানুষদের কাছে। আজ তারা দেখুক, উল্লাস প্রশাসনে বিসিএস ক্যাডার।