Dhaka ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক অর্থ উত্তোলনসহ নানা অভিযোগ

 

 

গাইবান্ধা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষক (অফিস সহকারী) মো. ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে গত দুটি অর্থ বছরে ভুয়া প্রকল্পের ব্যয় দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাভেদ হোসেন তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছেন। তিনি বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মো. ইসমাইল হোসেন গাইবান্ধা জেলা পরিষদের অফিস সহকারী কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে বেআইনীভাবে হিসাবরক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষককে আজ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব বুঝে দেননি।
মো. ইসমাইল হোসেন চলতি অর্থ বছরসহ ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে নিজের নাম ও হিসাবরক্ষকের পদ ব্যবহার করে একাধিক চেকের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি টাকা উত্তোলন করেন। তার বিরুদ্ধে অফিসের অন্যান্য স্টাফের নাম ব্যবহার করে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগও রয়েছে।

মো. ইসমাইল হোসেন ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অপসারণের পর ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেন।

পরবর্তীতে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে প্রায় ১ কোটি ৮১ লড়্গ টাকা উত্তোলন করা হয়। এরমধ্যে ৪ লাখ, ৪৭ হাজার, ৫শ টাকার ১৯টি উত্তোলন বিশেষভাবে সন্দেহজনক। তিনি ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের নাম করে ব্যয় দেখিয়েছেন, কিন’ প্রকৃতপক্ষে এসব প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব নেই।
গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চাকরিতে প্রবেশের সময় ইসমাইল হোসেনের দাখিল করা সম্পত্তির বিবরণীতে মাত্র এক ভরি স্বর্ণ, ১০ হাজার টাকা, ২টি টিনের ঘরের কথা উল্লেখ থাকলেও এখন তার এবং পরিবারের সদস্যদের নামে বিলাসবহুল বাড়ি, গোডাউন, জমিসহ বিপুল সম্পদ রয়েছে, যা প্রকৃত আয়ের সঙ্গে অসামজস্যপূর্ণ।

অভিযোগ গুলোর বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষক ইসমাইল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের তদন্ত হোক, আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে সবগুলো অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

গাইবান্ধা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক অর্থ উত্তোলনসহ নানা অভিযোগ

Update Time : ০৩:৪১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

 

গাইবান্ধা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষক (অফিস সহকারী) মো. ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে গত দুটি অর্থ বছরে ভুয়া প্রকল্পের ব্যয় দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাভেদ হোসেন তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছেন। তিনি বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মো. ইসমাইল হোসেন গাইবান্ধা জেলা পরিষদের অফিস সহকারী কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে বেআইনীভাবে হিসাবরক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষককে আজ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব বুঝে দেননি।
মো. ইসমাইল হোসেন চলতি অর্থ বছরসহ ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে নিজের নাম ও হিসাবরক্ষকের পদ ব্যবহার করে একাধিক চেকের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি টাকা উত্তোলন করেন। তার বিরুদ্ধে অফিসের অন্যান্য স্টাফের নাম ব্যবহার করে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগও রয়েছে।

মো. ইসমাইল হোসেন ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অপসারণের পর ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেন।

পরবর্তীতে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে প্রায় ১ কোটি ৮১ লড়্গ টাকা উত্তোলন করা হয়। এরমধ্যে ৪ লাখ, ৪৭ হাজার, ৫শ টাকার ১৯টি উত্তোলন বিশেষভাবে সন্দেহজনক। তিনি ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের নাম করে ব্যয় দেখিয়েছেন, কিন’ প্রকৃতপক্ষে এসব প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব নেই।
গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চাকরিতে প্রবেশের সময় ইসমাইল হোসেনের দাখিল করা সম্পত্তির বিবরণীতে মাত্র এক ভরি স্বর্ণ, ১০ হাজার টাকা, ২টি টিনের ঘরের কথা উল্লেখ থাকলেও এখন তার এবং পরিবারের সদস্যদের নামে বিলাসবহুল বাড়ি, গোডাউন, জমিসহ বিপুল সম্পদ রয়েছে, যা প্রকৃত আয়ের সঙ্গে অসামজস্যপূর্ণ।

অভিযোগ গুলোর বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষক ইসমাইল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের তদন্ত হোক, আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে সবগুলো অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।