সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব রথযাত্রা প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয়। গত শুক্রবার ধামরাইয়ে এই উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এটি ধামরাইয়ের সবচেয়ে পুরনো রথগুলোর মধ্যে অন্যতম।
রথযাত্রা উপলক্ষে ধামরাইয়ের বিভিন্ন মন্দির থেকে জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ সুসজ্জিত রথে স্থাপন করা হয়। এরপর ভক্তরা রথের রশি টেনে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। এই যাত্রা ধামরাইয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করে। বিভিন্ন বয়সী ভক্তরা রথযাত্রায় অংশ নেন এবং রথের সামনে কীর্তন ও ভক্তিমূলক গান পরিবেশন করা হয়। রথযাত্রার রথগুলো নানা রঙের ফুল, পতাকা ও কাপড় দিয়ে সুসজ্জিত ছিল। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে ধামরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়, যেখানে নানা ধরনের দোকান বসেছিল। রথযাত্রা উপলক্ষে ধামরাইয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ভলেন্টিয়াররা শান্তিপূর্ণভাবে রথযাত্রা সম্পন্ন করতে সহায়তা করেন।
গতকাল, শনিবার, জগন্নাথ দেব মাসির বাড়ি থেকে নিজ মন্দিরে ফিরে এসেছেন। এই উপলক্ষেও ধামরাইয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন বয়সী ভক্তরা রথযাত্রায় অংশ নিয়েছেন এবং রথের সামনে কীর্তন ও ভক্তিমূলক গান পরিবেশন করা হচ্ছে। রথযাত্রার রথগুলো নানা রঙের ফুল, পতাকা ও কাপড় দিয়ে সাজানো হয়েছে। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে ধামরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়েছে এবং মেলায় বিভিন্ন ধরনের দোকান বসেছে। রথযাত্রা উপলক্ষে ধামরাইয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ভলেন্টিয়াররা শান্তিপূর্ণভাবে রথযাত্রা সম্পন্ন করতে সহায়তা করছেন।
রথযাত্রা কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সম্প্রীতি ও মিলনের উৎসবও। এই উৎসবে সব ধর্মের মানুষ এক জায়গায় মিলিত হন এবং রথযাত্রা উপলক্ষে ধামরাইয়ের মানুষ এক নতুন আনন্দে মেতে ওঠেন।