Dhaka ০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে ৩টি অভিযোগের বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

 

👉অভিযান ০১:

পুরান ঢাকার জনসন রোডে জেলা পরিষদ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ২০ তলা আধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পে নথি গায়েব, অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা হতে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত জেলা পরিষদ কার্যালয় হতে নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্যাবলি সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে টিম জনসন রোডে অবস্থিত নির্মাণাধীন ভবনটি পরিদর্শন করে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১২ সালে বর্ণিত ভবনের নির্মাণে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়, যার কাজের মেয়াদ ১৮/১১/২০১২ থেকে ১৭/০৫/২০১৫ পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। টিম জানতে পারে, ভবনটির ২০ তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হলেও ২০১৭ সাল থেকে নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, ফলে সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। এছাড়াও, অনুমোদিত স্ট্রাকচারাল ডিজাইন ও ডিটেইল এস্টিমেট সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বা ঠিকাদার/পরামর্শকের কাছেও অনুপস্থিত থাকায় নির্মাণকাজের গুণগত মান যাচাই সম্ভব হয়নি, যা এ প্রকল্পে স্থবিরতার মূল কারণ বলে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

 

👉অভিযান ০২:

নাটোর জেলার সিংড়া ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় সড়ক সম্প্রসারণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহী হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে টিম রাতাল বিয়াস (সিংড়া) ও তমালতলা-আড়ানি (বাগাতিপাড়া) সড়কের সম্প্রসারণ কাজ পরিদর্শন করে এবং স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলে। দেখা যায়, উক্ত দুটি সড়কের সম্প্রসারণ কাজ যথাক্রমে ১০% ও ২০% সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্মাণকাজে দূরবর্তী স্থান থেকে মাটি সরবরাহ করার কথা থাকলেও বাস্তবে সড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে ব্যবহার করা হচ্ছে, যার সত্যতা অভিযানে প্রতীয়মান হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছে। নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে টিম কমিশনের নিকট বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

 

👉অভিযান ০৩:

কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে নানাবিধ হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজার হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের শুরুতে টিম বর্ণিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছদ্মবেশে উপস্থিত হয়ে রোগী ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে চিকিৎসাসেবার বিষয়ে কথা বলে। বেশ কয়েকজন সেবাপ্রার্থী সেবা প্রদানে অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগ করে, যাচাইয়ে যার সত্যতা পায় দুদক টিম। পরবর্তীতে ওষুধ স্টোর রুম পরিদর্শনে গিয়ে টিম পচে যাওয়া ও নষ্ট হওয়া ওষুধের প্যাকেট এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণের মতো গুরুতর অনিয়ম পাওয়া যায়। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্যাবলির ভিত্তিতে অভিযানকালে প্রাপ্ত অনিয়মসমূহের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত চেয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

 

#এনফোর্সমেন্ট_টিম_অভিযান

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে ৩টি অভিযোগের বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

Update Time : ০১:৫০:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

 

 

👉অভিযান ০১:

পুরান ঢাকার জনসন রোডে জেলা পরিষদ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ২০ তলা আধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পে নথি গায়েব, অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা হতে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত জেলা পরিষদ কার্যালয় হতে নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্যাবলি সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে টিম জনসন রোডে অবস্থিত নির্মাণাধীন ভবনটি পরিদর্শন করে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১২ সালে বর্ণিত ভবনের নির্মাণে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়, যার কাজের মেয়াদ ১৮/১১/২০১২ থেকে ১৭/০৫/২০১৫ পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। টিম জানতে পারে, ভবনটির ২০ তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হলেও ২০১৭ সাল থেকে নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, ফলে সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। এছাড়াও, অনুমোদিত স্ট্রাকচারাল ডিজাইন ও ডিটেইল এস্টিমেট সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বা ঠিকাদার/পরামর্শকের কাছেও অনুপস্থিত থাকায় নির্মাণকাজের গুণগত মান যাচাই সম্ভব হয়নি, যা এ প্রকল্পে স্থবিরতার মূল কারণ বলে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

 

👉অভিযান ০২:

নাটোর জেলার সিংড়া ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় সড়ক সম্প্রসারণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহী হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে টিম রাতাল বিয়াস (সিংড়া) ও তমালতলা-আড়ানি (বাগাতিপাড়া) সড়কের সম্প্রসারণ কাজ পরিদর্শন করে এবং স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলে। দেখা যায়, উক্ত দুটি সড়কের সম্প্রসারণ কাজ যথাক্রমে ১০% ও ২০% সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্মাণকাজে দূরবর্তী স্থান থেকে মাটি সরবরাহ করার কথা থাকলেও বাস্তবে সড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে ব্যবহার করা হচ্ছে, যার সত্যতা অভিযানে প্রতীয়মান হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছে। নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে টিম কমিশনের নিকট বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

 

👉অভিযান ০৩:

কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে নানাবিধ হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজার হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের শুরুতে টিম বর্ণিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছদ্মবেশে উপস্থিত হয়ে রোগী ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে চিকিৎসাসেবার বিষয়ে কথা বলে। বেশ কয়েকজন সেবাপ্রার্থী সেবা প্রদানে অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগ করে, যাচাইয়ে যার সত্যতা পায় দুদক টিম। পরবর্তীতে ওষুধ স্টোর রুম পরিদর্শনে গিয়ে টিম পচে যাওয়া ও নষ্ট হওয়া ওষুধের প্যাকেট এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণের মতো গুরুতর অনিয়ম পাওয়া যায়। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্যাবলির ভিত্তিতে অভিযানকালে প্রাপ্ত অনিয়মসমূহের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত চেয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

 

#এনফোর্সমেন্ট_টিম_অভিযান