Dhaka ০৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিতার সম্পত্তির লোভে বড় বোনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

 

 

সম্পত্তির লোভে বড় বোন আঞ্জুয়ারাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাই আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে। এমনকি আপেল মাহমুদ সম্পত্তির লোভেই পরিকল্পিতভাবে নিজের মেয়ের সাথে ভাগ্নের বিয়েও দিয়েছিলেন। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে রোববার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন গাইবান্ধা পৌর এলাকার দক্ষিণ ধানঘড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম।

 

লিখিত বক্তব্যে আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, তার পিতার বাড়ি গাইবান্ধা পৌর এলাকার পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামে। পিতা আব্দুল আউয়ালের মৃত্যুর পর থেকে এলাকার মাস্তান মধু মিয়ার কুপরামর্শে ছোট ভাই আপেল মাহমুদ আঞ্জুয়ারা বেগমের পরিবারের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করেন। বিভিন্ন সময়ে টাকাও দাবি করতেন। তার স্বামী ঝামেলা এড়াতে আপেল মাহমুদকে টাকাও দিতেন। গত দুবছর আগে একমাত্র ছেলে আতিকুল ইসলাম নয়নের সাথে আপেল মাহমুদের দ্বিতীয় মেয়ে আশরাফি আকতার অন্তরার বিয়ে হয়। এই বিয়ে ছিল একটি পরিকল্পিত নাটক। মূলত মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্যই ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দেনমোহরানা ধার্য করে আপেল তার মেয়ের সাথে বড়বোন আঞ্জুয়ারার ছেলের বিয়ে দেন। বিয়ের ৬ মাস পর থেকেই আপেল মাহমুদ মেয়ের তালাক নেয়ার জন্য মানবাধিকার সংগঠনে অভিযোগ দেন। পরে হয়রানি করার জন্যই যৌতুকের মামলা দিয়ে ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। আপেল মাহমুদ ও তার স্ত্রী সোমা বেগমের দুর্ব্যবহারের কারণে ৪ বছর যাবৎ পিতার বাড়িতে যেতে পারেন না আঞ্জুয়ারা ও স্বামী নজরুল ইসলাম।

 

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যেই ছোট ভাই আপেল মাহমুদ দেনমোহরানার টাকাসহ বিভিন্ন অজুহাতে কয়েক লাখ টাকা ধার হিসেবে হাতিয়ে নিয়েছেন। পিতার সম্পত্তির ৩২ শতক জমি ও ধার নেয়া টাকা যাতে পরিশোধ করতে না হয় সেজন্য সবসময় তাদেরকে ভয়ের মধ্যে রাখার চেষ্টা করে। এরই জের ধরে ছোট ভাই আপেল মাহমুদ, তার স্ত্রী সোমা বেগম, মেয়ে আশরাফি আকতার অন্তরা ও অনন্যা আকতার এবং তাদের কুপরামর্শদাতা মধু মিয়া দেশীয় অস্ত্রসহ গত শুক্রবার বিকেলে তাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং এলোপাথারি মারপিট করে আঞ্জুয়ারাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। অস্ত্রের আঘাতে তার কান ও শরীর জখম হয়। এসময় তার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয় তারা। আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রæত সটকে পড়ে। পরে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায় এলাকাবাসী।

 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশাসন ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জীবনের নিরাপত্তা, দোষী আপেল মাহমুদ ও সঙ্গীদের গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে স্বামী নজরুল ইসলাম, ছেলে আতিকুল ইসলাম নয়ন ও চাচাতো ভাই আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

পিতার সম্পত্তির লোভে বড় বোনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

Update Time : ০২:১২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

 

 

সম্পত্তির লোভে বড় বোন আঞ্জুয়ারাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাই আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে। এমনকি আপেল মাহমুদ সম্পত্তির লোভেই পরিকল্পিতভাবে নিজের মেয়ের সাথে ভাগ্নের বিয়েও দিয়েছিলেন। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে রোববার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন গাইবান্ধা পৌর এলাকার দক্ষিণ ধানঘড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম।

 

লিখিত বক্তব্যে আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, তার পিতার বাড়ি গাইবান্ধা পৌর এলাকার পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামে। পিতা আব্দুল আউয়ালের মৃত্যুর পর থেকে এলাকার মাস্তান মধু মিয়ার কুপরামর্শে ছোট ভাই আপেল মাহমুদ আঞ্জুয়ারা বেগমের পরিবারের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করেন। বিভিন্ন সময়ে টাকাও দাবি করতেন। তার স্বামী ঝামেলা এড়াতে আপেল মাহমুদকে টাকাও দিতেন। গত দুবছর আগে একমাত্র ছেলে আতিকুল ইসলাম নয়নের সাথে আপেল মাহমুদের দ্বিতীয় মেয়ে আশরাফি আকতার অন্তরার বিয়ে হয়। এই বিয়ে ছিল একটি পরিকল্পিত নাটক। মূলত মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্যই ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দেনমোহরানা ধার্য করে আপেল তার মেয়ের সাথে বড়বোন আঞ্জুয়ারার ছেলের বিয়ে দেন। বিয়ের ৬ মাস পর থেকেই আপেল মাহমুদ মেয়ের তালাক নেয়ার জন্য মানবাধিকার সংগঠনে অভিযোগ দেন। পরে হয়রানি করার জন্যই যৌতুকের মামলা দিয়ে ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। আপেল মাহমুদ ও তার স্ত্রী সোমা বেগমের দুর্ব্যবহারের কারণে ৪ বছর যাবৎ পিতার বাড়িতে যেতে পারেন না আঞ্জুয়ারা ও স্বামী নজরুল ইসলাম।

 

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যেই ছোট ভাই আপেল মাহমুদ দেনমোহরানার টাকাসহ বিভিন্ন অজুহাতে কয়েক লাখ টাকা ধার হিসেবে হাতিয়ে নিয়েছেন। পিতার সম্পত্তির ৩২ শতক জমি ও ধার নেয়া টাকা যাতে পরিশোধ করতে না হয় সেজন্য সবসময় তাদেরকে ভয়ের মধ্যে রাখার চেষ্টা করে। এরই জের ধরে ছোট ভাই আপেল মাহমুদ, তার স্ত্রী সোমা বেগম, মেয়ে আশরাফি আকতার অন্তরা ও অনন্যা আকতার এবং তাদের কুপরামর্শদাতা মধু মিয়া দেশীয় অস্ত্রসহ গত শুক্রবার বিকেলে তাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং এলোপাথারি মারপিট করে আঞ্জুয়ারাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। অস্ত্রের আঘাতে তার কান ও শরীর জখম হয়। এসময় তার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয় তারা। আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রæত সটকে পড়ে। পরে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায় এলাকাবাসী।

 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশাসন ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জীবনের নিরাপত্তা, দোষী আপেল মাহমুদ ও সঙ্গীদের গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে স্বামী নজরুল ইসলাম, ছেলে আতিকুল ইসলাম নয়ন ও চাচাতো ভাই আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।