শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলাধীন ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) এর অধীনস্থ রামচন্দ্রকুড়া বিওপি এবং ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলাধীন গোবরাকুড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে চোরাকারবারীরা অভিনব পন্থায় ভারতীয় জিরা, জিলেট ব্লেড, ডাব সাবান ও জনসন বেবি শ্যাম্পু পাচারের চেষ্টা করে। বিজিবি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে নিম্নবর্ণিত ভারতীয় মালামাল আটক করতে সক্ষম হয় : রামচন্দ্রকুড়া বিওপি। ২৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে রামচন্দ্রকুড়া বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ১১১৭/৩এস হতে আনুমানিক ১৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলাধীন মায়াকাশি নামক স্থান দিয়ে পাচারকালে ৬০০ কেজি ভারতীয় জিরা আটক করে। যার সিজার মূল্য ৭,২০,০০০/- (সাত লক্ষ বিশ হাজার) টাকা। গোবরাকুড়া বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ১১২৪/১এস হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলাধীন লক্ষীকুড়া নামক স্থান দিয়ে পাচারকালে ১০,০০০ পিস ভারতীয় জিলেট ব্লেড, ৩০০ পিস ডাব সাবান, ১৬৬ পিস জনসন বেবি শ্যাম্পু আটক করে। যার সিজার মূল্য ১,১৪,০০০/- (এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার) টাকা। ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) এর অধীনস্থ রামচন্দ্রকুড়া ও গোবরাকুড়া বিওপির বিজিবি টহল দল কর্তৃক সর্বমোট ৮,৬৪,০০০/- (আট লক্ষ চৌষট্টি হাজার) টাকা মূল্যের ভারতীয় জিরা, জিলেট ব্লেড, ডাব সাবান ও জনসন বেবি শ্যাম্পু আটক করতে সক্ষম হয়। উক্ত অভিযান পরিচালনাকালীন সময়ে চোরাকারবারীরা বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার আন্তর্জাতিক সীমানা রক্ষায় এবং যেকোন প্রকার অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে দিনরাত ২৪ ঘন্টা সদা জাগ্রত থেকে দায়িত্ব পালন করে। অধিনায়ক ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি)