Dhaka ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাদশা’র বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তাল ঝিনাইগাতী উপজেলাবাসী

 

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর রাজনীতিতে এক পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ মো. আমিনুল ইসলাম বাদশা। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান, পরবর্তীতে তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি সাধারণ মানুষের মনে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন। সেইসঙ্গে তিনি উপজেলা বিএনপি’র দুই বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুর জেলা বিএনপি’র দুই বারের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

 

বহিস্কৃত নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা বলেন, সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি’র অনেক নেতা প্রার্থী হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি দলটি। তবে শেরপুর-৩ আসনের কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও তৎকালীণ জেলা বিএনপি তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে দল থেকে বহিস্কারের প্রস্তাব পাঠায় কেন্দ্রে। সেই প্রস্তাব মোতাবেক আমাকে কেন্দ্রীয় বিএনপি বহিষ্কার করে। পরে আমি আমার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্যে বারংবার কেন্দ্রে গিয়ে প্রত্যাহারের চেষ্টা করলেও ওই গুষ্টিটি ব্যাপক ভাবে বিরোধিতা করে আসছে।

 

তবে বাদশা’র বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার না করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঝিনাইগাতী উপজেলাবাসী। তাদের দাবি, বাদশা শুধুমাত্র একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি নন, তিনি একজন সেবক, একজন নিঃস্বার্থ জননেতা। যেকোনো দুর্যোগে কিংবা উন্নয়নমূলক কাজে তার অবদান অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।

 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যাচ্ছে, দলমত নির্বিশেষে বিএনপি’র

বর্ষীয়ান নেতা, কর্মি ও ভোটাররা বলছেন, ঝিনাইগাতীর বিএনপিতে স্বচ্ছতা আনতে বাদশা’র কোন বিকল্প নেই। তাই বাদশা’র বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে গত প্রায় এক মাস ধরে চলছে সভা ও সমাবেশ।

 

আবার অনেকেই বলছেন, “বাদশা ভাই যদি দলে না থাকেন, তবে আমরা বিএনপি’র নেতাকর্মীরাই নির্যাতনের শিকার হবো। সেইসাথে শেরপুরে-৩ আসনটিও বিএনপি হারাতে পারে।

 

স্থানীয় এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক জানান, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এমন জনপ্রিয় একজন নেতাকে বাদ দেওয়া দলের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হতে পারে।”

 

তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে আমিনুল ইসলাম বাদশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো উপজেলাবাসী। অনেকেই বলছেন, দলের উচিত, গণমানুষের নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা’র বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপিতে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

বাদশা’র বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তাল ঝিনাইগাতী উপজেলাবাসী

Update Time : ০১:২৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

 

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর রাজনীতিতে এক পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ মো. আমিনুল ইসলাম বাদশা। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান, পরবর্তীতে তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি সাধারণ মানুষের মনে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন। সেইসঙ্গে তিনি উপজেলা বিএনপি’র দুই বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুর জেলা বিএনপি’র দুই বারের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

 

বহিস্কৃত নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা বলেন, সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি’র অনেক নেতা প্রার্থী হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি দলটি। তবে শেরপুর-৩ আসনের কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও তৎকালীণ জেলা বিএনপি তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে দল থেকে বহিস্কারের প্রস্তাব পাঠায় কেন্দ্রে। সেই প্রস্তাব মোতাবেক আমাকে কেন্দ্রীয় বিএনপি বহিষ্কার করে। পরে আমি আমার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্যে বারংবার কেন্দ্রে গিয়ে প্রত্যাহারের চেষ্টা করলেও ওই গুষ্টিটি ব্যাপক ভাবে বিরোধিতা করে আসছে।

 

তবে বাদশা’র বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার না করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঝিনাইগাতী উপজেলাবাসী। তাদের দাবি, বাদশা শুধুমাত্র একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি নন, তিনি একজন সেবক, একজন নিঃস্বার্থ জননেতা। যেকোনো দুর্যোগে কিংবা উন্নয়নমূলক কাজে তার অবদান অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।

 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যাচ্ছে, দলমত নির্বিশেষে বিএনপি’র

বর্ষীয়ান নেতা, কর্মি ও ভোটাররা বলছেন, ঝিনাইগাতীর বিএনপিতে স্বচ্ছতা আনতে বাদশা’র কোন বিকল্প নেই। তাই বাদশা’র বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে গত প্রায় এক মাস ধরে চলছে সভা ও সমাবেশ।

 

আবার অনেকেই বলছেন, “বাদশা ভাই যদি দলে না থাকেন, তবে আমরা বিএনপি’র নেতাকর্মীরাই নির্যাতনের শিকার হবো। সেইসাথে শেরপুরে-৩ আসনটিও বিএনপি হারাতে পারে।

 

স্থানীয় এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক জানান, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এমন জনপ্রিয় একজন নেতাকে বাদ দেওয়া দলের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হতে পারে।”

 

তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে আমিনুল ইসলাম বাদশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো উপজেলাবাসী। অনেকেই বলছেন, দলের উচিত, গণমানুষের নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা’র বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপিতে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।