Dhaka ১১:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে নিখোঁজ অটোরিকশা চালক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার 

 

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার গাজিরখামার ইউনিয়নের খরখরিয়া ব্রিজ সংলগ্ন একটি রাস্তার পাশে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় হোসেন আলী (১৫) নামে এক কিশোর অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। সোমবার (৪আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে মরদেহটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে শেরপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

 

নিহত হোসেন আলী ওই ইউনিয়নের চককুমরী গ্রামের আইসক্রিম বিক্রেতা সিরাজ আলী ওরফে বুচার ছেলে।

 

নিহতের পরিবারের বরাতে জানা গেছে, রবিবার আসরের নামাজের পর হোসেন আলী ভাড়ার উদ্দেশ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত সে ফিরে না আসায় পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে থাকে। আজ সোমবার বিকেলে খরখরিয়া ব্রিজের পাশে রাস্তায় পানিতে অর্ধ-ডুবন্ত একটি টি-শার্ট দেখতে পেয়ে মনিরাজ নামে এক তরুণ চিৎকার দিলে স্থানীয় জনতা ঘটনাস্থলে জড়ো হয় এবং এক পর্যায়ে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় কিশোর হোসেন আলীর মরদেহ দেখতে পায়।

 

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন, শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুবায়দুল আলম।

 

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

এদিকে পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়েছে, যা সম্ভাব্য হত্যাকারীদের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

এছাড়া স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, নিহত হোসেন আলীর ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের চিথলিয়া বাজার এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

 

নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, হোসেন আলীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

 

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

শেরপুরে নিখোঁজ অটোরিকশা চালক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার 

Update Time : ০৫:০৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

 

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার গাজিরখামার ইউনিয়নের খরখরিয়া ব্রিজ সংলগ্ন একটি রাস্তার পাশে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় হোসেন আলী (১৫) নামে এক কিশোর অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। সোমবার (৪আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে মরদেহটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে শেরপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

 

নিহত হোসেন আলী ওই ইউনিয়নের চককুমরী গ্রামের আইসক্রিম বিক্রেতা সিরাজ আলী ওরফে বুচার ছেলে।

 

নিহতের পরিবারের বরাতে জানা গেছে, রবিবার আসরের নামাজের পর হোসেন আলী ভাড়ার উদ্দেশ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত সে ফিরে না আসায় পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে থাকে। আজ সোমবার বিকেলে খরখরিয়া ব্রিজের পাশে রাস্তায় পানিতে অর্ধ-ডুবন্ত একটি টি-শার্ট দেখতে পেয়ে মনিরাজ নামে এক তরুণ চিৎকার দিলে স্থানীয় জনতা ঘটনাস্থলে জড়ো হয় এবং এক পর্যায়ে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় কিশোর হোসেন আলীর মরদেহ দেখতে পায়।

 

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন, শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুবায়দুল আলম।

 

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

এদিকে পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়েছে, যা সম্ভাব্য হত্যাকারীদের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

এছাড়া স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, নিহত হোসেন আলীর ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের চিথলিয়া বাজার এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

 

নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, হোসেন আলীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

 

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।