সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগের নাম হয়ে উঠেছে ঝিনাইগাতীর প্রধান সড়ক। সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই ঝিনাইগাতী -শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান সড়কের শিমুলতলী নামক স্থানে হাঁটু সমান পানি জমে থাকায় সাধারণ পথচারীদের চলাচল হয়ে পড়েছে চরম কষ্টকর। শিক্ষার্থী, রোগী, বৃদ্ধসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় সড়কটি রীতিমতো জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। এতে যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানানোর পরেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে “প্রতিবারই বলা হয় প্রকল্প অনুমোদনের কথা, অথচ বাস্তবে কিছুই হয় না। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি, এটা ঝিনাইগাতী উপজেলার জন্য একটি লজ্জার ব্যাপার।”
বিশেষ করে প্রধান এই সড়কটি দিয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকেন। এতে প্রতিনিয়ত চলন্ত গাড়ী চাকায় ছিটকে পড়া পঁচা পানি, পায়ে হেটে চলা মানুষগুলোর শরীরে লেগে জামা কাপড় নষ্ট হয়। তখন ওই মানুষগুলোর অবস্থা হয় আরও শোচনীয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার এবং পানি নিষ্কাশনের টেকসই ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যেই আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি এবং সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করেছি। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা জনগণের কষ্টের জায়গাটা বুঝি এবং আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে।
শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন:
“সড়কের জলাবদ্ধতা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, যা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। সরেজমিনে পরিদর্শনের ভিত্তিতে দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং রাস্তার পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু করবো। নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।