Dhaka ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইগাতীতে বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক পদে পরীক্ষিত ও সাহসী নেতা আব্দুল মান্নান

 

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপি’র রাজনীতিতে আব্দুল মান্নান শুধু একটি নাম নয়। তিনি একজন আদর্শবান সংগ্রামী কর্মী, নেতৃত্বগুণে অনন্য সংগঠক এবং ত্যাগ-তিতিক্ষার এক জীবন্ত দৃষ্টান্ত। ছাত্রদল থেকে রাজনীতির হাতেখড়ি নেওয়া এই নেতা আজ উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে একজন জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী।

 

নয়াগাঁও গ্রামের প্রয়াত ফছি উদ্দিন মেম্বারের সুযোগ্য সন্তান আব্দুল মান্নান ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মাধ্যমে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন। সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তার পথচলা কাঁটায় ভরা হলেও কখনো পিছিয়ে পড়েননি। দলের প্রতি আনুগত্য, কর্মীদের প্রতি ভালোবাসা এবং আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা তাকে আজকের অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে।

 

তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি ১৯৯০সালে ঝিনাইগাতী বাজার শাখার ছাত্রদলের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪সালে থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৫ সালে উপজেলা ছাত্রদলের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।

২০০৩সালে উপজেলা যুবদলের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ২০১০সালে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।

২০১১সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩সালে উপজেলা যুবদলের সভাপতি থাকাবস্থায় উপজেলা বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনীত হন। ২০১৪সাল থেকে পর পর দুইবার জেলা বিএনপি’র সদস্য পদে মনোনীত হন। ২০১৭সালে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়কের দ্বায়িত্ব পালন করেন।

২০২১সালে পূণরায় উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত হন। পরবর্তীতে আহবায়ক ও সিনিয়ন যুগ্ন আহবায়ক মৃত্যুবরণ করায় তিনি উক্ত কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন।

 

আন্দোলনমুখর এই নেতা কখনো দলীয় সুবিধা নয়, বরং দায়িত্ব ও আদর্শকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে তার বিরুদ্ধে ১৭টি রাজনৈতিক মামলা দায়ের হয়। এরমধ্যে ৩টি মামলা নিষ্পত্তি হলেও চলমান রয়েছে ১৪টি মামলা। এসব মামলার কারণে ৭ বার তাকে কারাগারে যেতে হয়, মোট ১৯ মাস জেলজীবন পার করেন। যা দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ একজন রাজনৈতিক কর্মীর গৌরবময় ত্যাগের প্রতীক।

 

প্রতিটি আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে থাকা আব্দুল মান্নান আজ শুধু পদপ্রার্থী নন, তিনি উপজেলার প্রতিটি নেতাকর্মীর মনের মানুষ। তরুণ-যুব-প্রবীণ সকল নেতাকর্মীর সঙ্গে তার আত্মিক যোগাযোগ, কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো এবং দলকে সঠিক পথে পরিচালনার অদম্য মনোভাব তাকে একজন প্রকৃত সংগঠকে পরিণত করেছে।

 

তার জীবনযাপন অত্যন্ত সহজ-সরল। প্রতিহিংসা নয়, বরং সৌহার্দ্য ও শৃঙ্খলাকেই তিনি রাজনৈতিক চর্চার প্রধান উপাদান মনে করেন।

 

উপজেলা বিএনপি’র আগামী দিনের নেতৃত্বে আব্দুল মান্নানের মতো সাহসী, অভিজ্ঞ ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীর প্রয়োজন। তিনি শুধু পদে নয়, চিন্তায়, চেতনায় এবং কাজে পরীক্ষিত। রাজনৈতিক নিপীড়ন, দমন-পীড়ন ও কষ্ট সহ্য করে তিনি আজও দলের পতাকা হাতে রাজপথে অটল।

 

স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের দৃঢ় বিশ্বাস, তৃণমূলের এই ত্যাগী নেতাকে মূল্যায়ন করা উচিত। তার মতো সংগ্রামী ব্যক্তিকে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব প্রদান করলে ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপি আরও ঐক্যবদ্ধ, গতিশীল ও শক্তিশালী হবে, যা আগামী জাতীয় রাজনীতিতে দলকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে।

 

উপজেলাবাসী বলছেন, আব্দুল মান্নান আজকের নয়, আগামী দিনেরও ভরসার নাম। তার প্রতিটি পদক্ষেপে বিএনপি’র আত্মা স্পন্দিত হয়। এমন নেতার হাতেই হোক নতুন নেতৃত্বের সূচনা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

ঝিনাইগাতীতে বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক পদে পরীক্ষিত ও সাহসী নেতা আব্দুল মান্নান

Update Time : ০৩:১৬:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

 

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপি’র রাজনীতিতে আব্দুল মান্নান শুধু একটি নাম নয়। তিনি একজন আদর্শবান সংগ্রামী কর্মী, নেতৃত্বগুণে অনন্য সংগঠক এবং ত্যাগ-তিতিক্ষার এক জীবন্ত দৃষ্টান্ত। ছাত্রদল থেকে রাজনীতির হাতেখড়ি নেওয়া এই নেতা আজ উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে একজন জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী।

 

নয়াগাঁও গ্রামের প্রয়াত ফছি উদ্দিন মেম্বারের সুযোগ্য সন্তান আব্দুল মান্নান ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মাধ্যমে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন। সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তার পথচলা কাঁটায় ভরা হলেও কখনো পিছিয়ে পড়েননি। দলের প্রতি আনুগত্য, কর্মীদের প্রতি ভালোবাসা এবং আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা তাকে আজকের অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে।

 

তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি ১৯৯০সালে ঝিনাইগাতী বাজার শাখার ছাত্রদলের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪সালে থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৫ সালে উপজেলা ছাত্রদলের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।

২০০৩সালে উপজেলা যুবদলের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ২০১০সালে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।

২০১১সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩সালে উপজেলা যুবদলের সভাপতি থাকাবস্থায় উপজেলা বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনীত হন। ২০১৪সাল থেকে পর পর দুইবার জেলা বিএনপি’র সদস্য পদে মনোনীত হন। ২০১৭সালে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়কের দ্বায়িত্ব পালন করেন।

২০২১সালে পূণরায় উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত হন। পরবর্তীতে আহবায়ক ও সিনিয়ন যুগ্ন আহবায়ক মৃত্যুবরণ করায় তিনি উক্ত কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন।

 

আন্দোলনমুখর এই নেতা কখনো দলীয় সুবিধা নয়, বরং দায়িত্ব ও আদর্শকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে তার বিরুদ্ধে ১৭টি রাজনৈতিক মামলা দায়ের হয়। এরমধ্যে ৩টি মামলা নিষ্পত্তি হলেও চলমান রয়েছে ১৪টি মামলা। এসব মামলার কারণে ৭ বার তাকে কারাগারে যেতে হয়, মোট ১৯ মাস জেলজীবন পার করেন। যা দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ একজন রাজনৈতিক কর্মীর গৌরবময় ত্যাগের প্রতীক।

 

প্রতিটি আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে থাকা আব্দুল মান্নান আজ শুধু পদপ্রার্থী নন, তিনি উপজেলার প্রতিটি নেতাকর্মীর মনের মানুষ। তরুণ-যুব-প্রবীণ সকল নেতাকর্মীর সঙ্গে তার আত্মিক যোগাযোগ, কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো এবং দলকে সঠিক পথে পরিচালনার অদম্য মনোভাব তাকে একজন প্রকৃত সংগঠকে পরিণত করেছে।

 

তার জীবনযাপন অত্যন্ত সহজ-সরল। প্রতিহিংসা নয়, বরং সৌহার্দ্য ও শৃঙ্খলাকেই তিনি রাজনৈতিক চর্চার প্রধান উপাদান মনে করেন।

 

উপজেলা বিএনপি’র আগামী দিনের নেতৃত্বে আব্দুল মান্নানের মতো সাহসী, অভিজ্ঞ ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীর প্রয়োজন। তিনি শুধু পদে নয়, চিন্তায়, চেতনায় এবং কাজে পরীক্ষিত। রাজনৈতিক নিপীড়ন, দমন-পীড়ন ও কষ্ট সহ্য করে তিনি আজও দলের পতাকা হাতে রাজপথে অটল।

 

স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের দৃঢ় বিশ্বাস, তৃণমূলের এই ত্যাগী নেতাকে মূল্যায়ন করা উচিত। তার মতো সংগ্রামী ব্যক্তিকে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব প্রদান করলে ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপি আরও ঐক্যবদ্ধ, গতিশীল ও শক্তিশালী হবে, যা আগামী জাতীয় রাজনীতিতে দলকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে।

 

উপজেলাবাসী বলছেন, আব্দুল মান্নান আজকের নয়, আগামী দিনেরও ভরসার নাম। তার প্রতিটি পদক্ষেপে বিএনপি’র আত্মা স্পন্দিত হয়। এমন নেতার হাতেই হোক নতুন নেতৃত্বের সূচনা।