👉অভিযান ০১:
পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা পৌরসভার উদ্যোগে সমুদ্র তীরে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১,৩০০ মিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালী থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে মেরিন ড্রাইভটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। টিম জানতে পারে, সমুদ্র তীরে অবস্থিত সড়কটির ভাঙন রোধে কোনো রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়নি, এমনকি কোনো জিও ব্যাগ বা কংক্রিট ব্লকও স্থাপন করা হয়নি। ফলে নির্মাণের অল্প সময়ের মধ্যেই সড়কের একাংশ সমুদ্রের ঢেউয়ে বিলীন হয়ে গেছে এবং অবশিষ্ট অংশও ধীরে ধীরে ক্ষয়ের মুখে রয়েছে। অভিযানকালে প্রাপ্ত অনিয়মসমূহের বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের নিমিত্ত কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
👉অভিযান ০২:
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে অনিয়ম এবং সরকারি এম্বুলেন্সে রোগী পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুড়িগ্রাম হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে হাসপাতালে উপস্থিত থেকে ওষুধ বিতরণ কাউন্টার, ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড, হাসপাতালের গেটসহ বিভিন্ন স্থান পর্যবেক্ষণ করে। রোগীর আত্মীয় পরিচয়ে দুদক টিমের একজন সদস্য এম্বুলেন্স ড্রাইভারকে কল দিলে তিনি নিজে না এসে অন্য একজনকে পাঠান এবং আগত ড্রাইভার নাগেশ্বরী থেকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে রোগী পরিবহনের জন্য ১,৩০০ টাকা দাবি করেন, যা নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রমসমূহের প্রমাণ বহন করে। এছাড়া হাসপাতালের ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে দেখা যায়, ওয়াশরুমগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। রোগীর খাবার পর্যবেক্ষণকালে রান্না করা মাছের প্রতিটি টুকরার ওজন ১৪০ গ্রাম থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে মাত্র ৩৪ গ্রাম পাওয়া যায়। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। অভিযান চলাকালে উক্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রায় ১৫-২০ জন ওষুধ কোম্পানির সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভের উপস্থিতি লক্ষ্য করা হয়, যাদের মধ্যে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা নিয়মবহির্ভূতভাবে হাসপাতালে প্রবেশের কথা স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে মর্মে লিখিত মুচলেকা প্রদান করে। উপস্থিত সেবাগ্রহীতাগণ দুদক টিমের এ অভিযানকে স্বাগত জানান।
👉অভিযান ০৩:
গণপূর্ত মহাখালী বিভাগ কর্তৃক (১) মহাখালী নার্সিং কলেজের সামনের রাস্তার উন্নয়ন কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি, (২) প্রকল্পে দ্বৈত বরাদ্দ এনে অর্থ আত্মসাৎ, (৩) জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বিভিন্ন নিৰ্মাণ ও সংস্কার কাজে কাগজে-কলমে প্রকল্প দেখিয় অর্থ আত্মসাতসহ নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, প্রধান কার্যালয় হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। টিম জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বিভিন্ন নিৰ্মাণ ও সংস্কার কাজে সরেজমিনে পরিদর্শন করে এবং রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে| অভিযানকালে
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটে আগত সেবাপ্রার্থীদের বসার স্থান, স্টোর রুম নির্মাণ সংক্রান্ত ও পানির ফিল্টার স্থাপন সংক্রান্ত নিম্নোক্ত অনিয়মসমূহ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
১. রোগীদের বসার জন্য যে শেড নির্মান করা হয়েছে তাতে কোন রোগী পাওয়া যায়নি, বরং তা তালা মারা ছিল। ভিতরে কোন ফ্যানের ব্যবস্থাও ছিল না। ফলে রোগী ও তাদের সাথে আসা লোকজন এদিক সেদিক ফ্লোরে বসে ছিলেন।
২. পানির ফিল্টার বসানো হলেও তা অচল এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার হয়নি মর্মে প্রতীয়মান হয়।
৩. মাত্র ১ বছর পূর্বে স্থাপিত স্টোর রুমের ছাদে বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়ছে।
৪. আনসারদের বসবাসের জন্য বানানো শেডে বৈদ্যুতিক সংযোগের কাজ অসমাপ্ত দেখা গেছে।
অভিযানকালে প্রাপ্ত অনিয়মসমূহের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
#এনফোর্সমেন্ট_টিম_অভিযান