সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডসহ সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন, গুম ও হত্যার প্রতিবাদে গাজীপুরে এক বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় গাজীপুর চৌরাস্তা চৌরঙ্গী মোড়ে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় বক্তারা তুহিন হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাংবাদিক নেতা মোঃ এরশাদ আলম শরীফ। বলেন, তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ধরনের নৃশংস ঘটনা সমাজের জন্য একটি অশনি সংকেত। তারা মনে করেন, সাংবাদিকরা যদি তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে নিরাপদ বোধ না করেন, তবে সত্য প্রকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। এতে সাধারণ মানুষ সঠিক তথ্য থেকে বঞ্চিত হবে।

এছাড়া আরো সাংবাদিক নেতারা বলেন, তুহিন হত্যার ঘটনা প্রমাণ করে যে দেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা কতটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এসময় তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, হয়রানি এবং মিথ্যা মামলার বিচার দাবি করেন

বক্তারা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের হয়রানি থেকে রক্ষা করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

কর্মসূচিতে গাজীপুরের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সদস্যরা অংশ নেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন— সাংবাদিক অধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সুমন চৌধুরী, গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম. কাজল খান, গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যকরী সভাপতি মোঃ এরশাদ আলম শরীফ । গাজীপুর সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব রিংকু। গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুম রানা , কোনাবাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ সালাউদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম এবং সাংবাদিক অধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নয়ন মনির।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মাসুম রানা, সাংবাদিক হারিছুর রহমান শিপলু, মো. আরিফ, এরশাদ আলম শরিফ, সজীব সরকার, অপু, মানিক হোসেন বিজয়, আবু সালেহ মুছা, পাপেল, হাসনাত উল্লাহ, রেজা, নুরুজ্জামান শেখ, জাকারিয়া, আমান উল্লাহ আমান। নারী সাংবাদিকদের মধ্যে রেনু, মুন্নী, তানজিলা, কেয়া, সুলতানা সরকার, বিলকিস এবং মুক্তা রীনা প্রমুখও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন শেষে সাংবাদিক নেতারা হুঁশিয়ারি দেন যে, যদি তুহিন হত্যার বিচার দ্রুত নিশ্চিত করা না হয় এবং সারাদেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেবেন।