Dhaka ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নামের আগে ডা.না লেখার সার্কুলারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

হোমিওপ্যাথিক স্বার্থ সংরক্ষণ জাতীয় কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার ২/৯/২০২৫ ইং এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগণ বলেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ডা:লেখা আইনসম্মত হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হয়রানি করায় ক্ষোভ প্রকাশ এবং নিন্দা জানিয়েছেন। হোমিও সেবা সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা:আব্দুল হালিম ও সাধারণ সম্পাদক ডা: এম হাবিল। বক্তারা বলেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ ডা:লেখায় কোন প্রকার হয়রানি না করার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ক্ষারকলিপি দাখিল করেন। আবেদনে বলা হয় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩”এর ২(১৩)ধারায় উল্লেখ আছে হোমিওপথিক চিকিৎসক (Homeopathic doctor) “অর্থ এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত কোনো হোমিওপ্যাথিক ডা:”।এই আইনটির প্রায় সকল পৃষ্ঠায় এর পক্ষে গড়ে একাধিক স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০২৩ সালে মহান জাতীয় সংসদে সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহীত এবং গেজেট ভুক্ত ৬১ নং আইনের প্রাধান্য “আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন। এই আইনের বিধানবলী প্রাধান্য পাইবে “। (ধারা নং ৩)এছাড়াও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮” ধারা ২(১২)তে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের ডা: হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক গন নামের আগে ডা: প্রিফিক্স আইনগত অধিকার রাখেন।বাংলাদেশ মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিল স্মারক নং বিএমডিসি/৫ জি ২০২৫/১০৩৮ তারিখ – ২৪-৭-২০২৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০” এর ধারা ২৯(১) উল্লেখ রয়েছে ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রির প্রাপ্ত ব্যতীত অন্য কেহ নামের পূর্বে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করিতে পারিবেন না। উক্ত আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং ২৭৩০/২০১৩ ও ১৩০৪৬/২০২৪ রায়ে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত বিএমএফ(ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি) ডিগ্রীধারীদের ডাক্তার প্রিফিক্স ব্যবহারের দাবিতে এই রিটপিটিশন এর সূত্রপাত।বিজ্ঞ আদালত উক্ত রায়ে হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেন নাই। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ “বাংলাদেশ ভেটেনারী কাউন্সিল আইন ১০১৮” এবং বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র তিনটি আইন রয়েছে।কোন অবস্থাতেই এই তিনটি আইনে একীভুত কিংবা পারস্পরিক কর্তৃত্বের সুযোগ নেই। যেমন বাংলাদেশ ভেটেনারি কাউন্সিল আইন ২০১৮ “এর ধারা ২৩(২)অনুযায়ী এমবিবিএস বিডিএস ডিগ্রিধারী না হয়েও ডিভিএম চিকিৎসকরা বৈধভাবে ডাক্তার বা ডা: প্রিফিক্স ব্যবহার করেন। অনুরূপভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ অনুযায়ী নামের আগে ডা: প্রিফিক্স ব্যবহারের আইনগত অধিকার রাখেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নামের আগে ডা.না লেখার সার্কুলারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

Update Time : ০২:৫৩:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হোমিওপ্যাথিক স্বার্থ সংরক্ষণ জাতীয় কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার ২/৯/২০২৫ ইং এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগণ বলেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ডা:লেখা আইনসম্মত হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হয়রানি করায় ক্ষোভ প্রকাশ এবং নিন্দা জানিয়েছেন। হোমিও সেবা সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা:আব্দুল হালিম ও সাধারণ সম্পাদক ডা: এম হাবিল। বক্তারা বলেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ ডা:লেখায় কোন প্রকার হয়রানি না করার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ক্ষারকলিপি দাখিল করেন। আবেদনে বলা হয় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩”এর ২(১৩)ধারায় উল্লেখ আছে হোমিওপথিক চিকিৎসক (Homeopathic doctor) “অর্থ এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত কোনো হোমিওপ্যাথিক ডা:”।এই আইনটির প্রায় সকল পৃষ্ঠায় এর পক্ষে গড়ে একাধিক স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০২৩ সালে মহান জাতীয় সংসদে সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহীত এবং গেজেট ভুক্ত ৬১ নং আইনের প্রাধান্য “আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন। এই আইনের বিধানবলী প্রাধান্য পাইবে “। (ধারা নং ৩)এছাড়াও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮” ধারা ২(১২)তে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের ডা: হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক গন নামের আগে ডা: প্রিফিক্স আইনগত অধিকার রাখেন।বাংলাদেশ মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিল স্মারক নং বিএমডিসি/৫ জি ২০২৫/১০৩৮ তারিখ – ২৪-৭-২০২৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০” এর ধারা ২৯(১) উল্লেখ রয়েছে ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রির প্রাপ্ত ব্যতীত অন্য কেহ নামের পূর্বে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করিতে পারিবেন না। উক্ত আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং ২৭৩০/২০১৩ ও ১৩০৪৬/২০২৪ রায়ে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত বিএমএফ(ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি) ডিগ্রীধারীদের ডাক্তার প্রিফিক্স ব্যবহারের দাবিতে এই রিটপিটিশন এর সূত্রপাত।বিজ্ঞ আদালত উক্ত রায়ে হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেন নাই। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ “বাংলাদেশ ভেটেনারী কাউন্সিল আইন ১০১৮” এবং বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র তিনটি আইন রয়েছে।কোন অবস্থাতেই এই তিনটি আইনে একীভুত কিংবা পারস্পরিক কর্তৃত্বের সুযোগ নেই। যেমন বাংলাদেশ ভেটেনারি কাউন্সিল আইন ২০১৮ “এর ধারা ২৩(২)অনুযায়ী এমবিবিএস বিডিএস ডিগ্রিধারী না হয়েও ডিভিএম চিকিৎসকরা বৈধভাবে ডাক্তার বা ডা: প্রিফিক্স ব্যবহার করেন। অনুরূপভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ অনুযায়ী নামের আগে ডা: প্রিফিক্স ব্যবহারের আইনগত অধিকার রাখেন।