নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পারইল উচ্চ বিদ্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে জাহিদুর রহমান জাহিদ ফকিরের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী ৪নং পারইল ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদের নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি বিদ্যালয়ের নির্মিত একটি নতুন দোকানঘর ভাঙচুর করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর-২০২৫) পারইল উচ্চ বিদ্যালয় এই ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ ১৫-২০ জন সহযোগী নিয়ে তিনি পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। চেয়ারম্যান জাহিদ ফকিরের নেতৃত্বে কয়েকজন সহযোগী বিদ্যালয় চত্বরে থাকা একটি নতুন দোকানঘর ভাঙচুর করেন। এরপর অন্যান্য স্থাপনাতেও হামলা চালাই। পরে স্থানীয় লোকজন ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এগিয়ে এলে তারা সেখান থেকে দ্রুত পলায়ন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী বিদ্যালয়ের আয়া মোছা. রাবেয়া বসরী বলেন, চেয়ারম্যান জাহিদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের নবনির্মিত দোকানঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি ঘটনাটি ভিডিও করতে গেলে হামলাকারীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ভেঙে দেয়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র সাহা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান জাহিদ বিদ্যালয়ের সভাপতি হতে না পেরে এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। গত (৮ সেপ্টেম্বর) চেয়ারম্যান নিজে বিদ্যালয়ে এসে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যান। এ ঘটনায় আমি থানায় জিডি করেছি। এর জের ধরেই বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের নির্মিত দোকানঘর ভাঙচুর ও অন্যান্য স্থাপনাতে হামলা করেন। আমি এই ঘটনার তদন্ত ও বিচার চেয়ে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলার পারইল ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, আমি কোনো ভাঙচুর করিনি। এসব অভিযোগ মিথ্যা। তবে বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় আমি এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তারা যদি অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।