জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের আইরমারি, মুন্দীরপাড়া ও খাপরাপাড়া এলাকাবাসী এখন নদীভাঙনের নির্মম শিকার। ব্রহ্মপুত্র ও জিঞ্জিরাম নদীর প্রবল স্রোতে বছরের পর বছর ধরে বসতভিটা, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে শত শত পরিবার।
ভাঙন এতটাই তীব্র যে, একটি পরিবার যেখানে একসময় বসবাস করত, সেখানে এখন শুধুই নদীর জল। অথচ এত বছরের ভয়াবহতার পরও গড়ে ওঠেনি কোনো স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
এই পরিস্থিতির প্রতিবাদে ও টেকসই সমাধানের দাবিতে রবিবার মেরুরচরে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে শত শত নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থী, কৃষক ও দিনমজুর অংশগ্রহণ করেন। তারা দাবি জানান, অবিলম্বে নদীভাঙন রোধে কার্যকর বাঁধ নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জরুরি সহায়তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “নদীর গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা হারিয়ে যাচ্ছি। প্রতিবছর বর্ষা এলে আতঙ্কে থাকি—কোনদিন যেন ঘরটা ভেঙে পড়ে, জমিটা চলে যায়।”
তারা আরও বলেন, “সরকারি আশ্বাস বহুবার শুনেছি, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি কিছুই। আমরা আর অপেক্ষা করতে পারি না।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বারবার আবেদন ও অভিযোগ জানিয়েও পাননি কোনো দৃশ্যমান প্রতিকার। নেই কোনো স্থায়ী বাঁধ, নেই জরুরি সহায়তার কার্যকর উদ্যোগ।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে কয়েক বছরের মধ্যেই মেরুরচর মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।”
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের মুখে ছিল একটাই কথা—বাঁচতে চাই। তাদের প্রত্যাশা, প্রশাসন ও সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করবে।