Dhaka ০৬:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদারীপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে দুদকের অভিযান 

 

 

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, মাদারীপুর -এর কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে এতিম শিক্ষার্থীদের ক্যাপিটেশন গ্রান্টের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, মাদারীপুর হতে আজ অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অভিযোগে বর্ণিত হযরত শাহ মাদার (র:) দরগাহ শরীফ এতিমখানা সরেজমিন পরিদর্শন, গত ছয় বছরের বরাদ্দ ও রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। পর্যালোচনায় দেখা যায়, সমাজসেবা দপ্তর হতে বর্ণিত এতিমখানায় ২০১৯ সাল থেকে প্রতি মাসে জনপ্রতি ২,০০০/- টাকা হারে মোট ১৪৫ জন এতিম শিক্ষার্থীর জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত মোট বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৫১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। অভিযানে আরও জানা যায়, বর্ণিত এতিমখানাটিতে কখনোই ৩০০ জন এতিম শিক্ষার্থী ছিলো না; বরং দায়িত্বপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অতিরিক্ত বরাদ্দ উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এছাড়াও এতিমখানার এফডিআর, অন্যান্য অনুদান ও এতিম শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত অর্থ ব্যক্তিগত ব্যবসায় ব্যবহারের প্রাথমিক সত্যতাও অভিযানকালে পাওয়া যায়। অভিযানকালে প্রাপ্ত তথ্যাবলির আলোকে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

মাদারীপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে দুদকের অভিযান 

Update Time : ০৩:০৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

 

 

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, মাদারীপুর -এর কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে এতিম শিক্ষার্থীদের ক্যাপিটেশন গ্রান্টের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, মাদারীপুর হতে আজ অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অভিযোগে বর্ণিত হযরত শাহ মাদার (র:) দরগাহ শরীফ এতিমখানা সরেজমিন পরিদর্শন, গত ছয় বছরের বরাদ্দ ও রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। পর্যালোচনায় দেখা যায়, সমাজসেবা দপ্তর হতে বর্ণিত এতিমখানায় ২০১৯ সাল থেকে প্রতি মাসে জনপ্রতি ২,০০০/- টাকা হারে মোট ১৪৫ জন এতিম শিক্ষার্থীর জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত মোট বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৫১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। অভিযানে আরও জানা যায়, বর্ণিত এতিমখানাটিতে কখনোই ৩০০ জন এতিম শিক্ষার্থী ছিলো না; বরং দায়িত্বপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অতিরিক্ত বরাদ্দ উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এছাড়াও এতিমখানার এফডিআর, অন্যান্য অনুদান ও এতিম শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত অর্থ ব্যক্তিগত ব্যবসায় ব্যবহারের প্রাথমিক সত্যতাও অভিযানকালে পাওয়া যায়। অভিযানকালে প্রাপ্ত তথ্যাবলির আলোকে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।