Dhaka ০৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পতেঙ্গা মডেল থানার অভিযানে দেবর কর্তৃক ভাবী খুনের ঘটনায় জড়িত মূল হোতা সহ ০২ গ্রেফতার*

 

 

মামলার ভিকটিম ফেরদৌসি আক্তার (৩২) চট্টগ্রামে গার্মেন্টসে চাকুরী করত। ভিকটিম তার স্বামী ও সন্তান সহ ধুমপাড়া, চড়িহালদার মোড়, হামিদ মাঝির বাড়ী, আবু বক্করের ঘর, ৪০নং ওয়ার্ডে বসবাস করতেন। ভিকটিম এর সাথে বিগত ২০১৩ খ্রি. সালে আসামী মোঃ লোকমান হোসেন (৪৫) এর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। এই বিয়ে আসামীর মোঃ লোকমান হোসেন এর পরিবারের লোকজন স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয় নাই। বিবাহের পর হতে ভিকটিমকে তার স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন নানাভাবে হয়রানী করে আসছিল। ভিকটিমের দাম্পত্য জীবনে জান্নাতুল মাওয়া উর্মি (০৮) নামে মেয়ে এবং মোঃ আশফাকুল ইসলাম (০৩) নামে এক ছেলে রয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ আগে ভিকটিম তার স্বামীকে রান্নাঘর মেরামত করার জন্য অনুরোধ করলে ভিকটিমের স্বামী ভিকটিমকে মারধর করে। গত ১৩/০৭/২০২৫ইং তারিখ রাত অনুমান ১১.০০ ঘটিকার দিকে ভিকটিমের দেবর মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ রনি (২৮) ও ভিকটিমের স্বামী মোঃ লোকমান হোসেন (৪৫) রান্নাঘর মেরামতের বিষয় নিয়ে ভিকটিমকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে ভিকটিমের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। এজাহারনামীয় ১নং আসামী মোঃ রনি (২৬) তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের বুকে, পিঠে উপর্যুপরি আঘাত করে। আসামীদের মারধরে ভিকটিম ফেরদৌসি আক্তার (৩২) এর মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামীরা দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম এর ভাই মোঃ মামুন খান (৩৬) বাদী হয়ে এজাহার দিলে পতেঙ্গা মডেল থানার মামলা নং-১২, তারিখ-১৪/০৭/২০২৫ইং ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। মামলা রুজুর পর থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এইচএম হারুনুজ্জামান রোমেল সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ একটানা অভিযান করে ইং ২০/০৭/২০২৫ তারিখ চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানাধীন চড়িহালদা মোড় হতে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত ঘটনার মূল হোতা এজাহারনামীয় ১নং আসামী মোঃ রনি (২৮) ও ৩নং আসামী সোলাইমান (৪৮)’দ্বয়কে গ্রেফতার করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

পতেঙ্গা মডেল থানার অভিযানে দেবর কর্তৃক ভাবী খুনের ঘটনায় জড়িত মূল হোতা সহ ০২ গ্রেফতার*

Update Time : ০৯:৪১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

 

 

মামলার ভিকটিম ফেরদৌসি আক্তার (৩২) চট্টগ্রামে গার্মেন্টসে চাকুরী করত। ভিকটিম তার স্বামী ও সন্তান সহ ধুমপাড়া, চড়িহালদার মোড়, হামিদ মাঝির বাড়ী, আবু বক্করের ঘর, ৪০নং ওয়ার্ডে বসবাস করতেন। ভিকটিম এর সাথে বিগত ২০১৩ খ্রি. সালে আসামী মোঃ লোকমান হোসেন (৪৫) এর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। এই বিয়ে আসামীর মোঃ লোকমান হোসেন এর পরিবারের লোকজন স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয় নাই। বিবাহের পর হতে ভিকটিমকে তার স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন নানাভাবে হয়রানী করে আসছিল। ভিকটিমের দাম্পত্য জীবনে জান্নাতুল মাওয়া উর্মি (০৮) নামে মেয়ে এবং মোঃ আশফাকুল ইসলাম (০৩) নামে এক ছেলে রয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ আগে ভিকটিম তার স্বামীকে রান্নাঘর মেরামত করার জন্য অনুরোধ করলে ভিকটিমের স্বামী ভিকটিমকে মারধর করে। গত ১৩/০৭/২০২৫ইং তারিখ রাত অনুমান ১১.০০ ঘটিকার দিকে ভিকটিমের দেবর মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ রনি (২৮) ও ভিকটিমের স্বামী মোঃ লোকমান হোসেন (৪৫) রান্নাঘর মেরামতের বিষয় নিয়ে ভিকটিমকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে ভিকটিমের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। এজাহারনামীয় ১নং আসামী মোঃ রনি (২৬) তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের বুকে, পিঠে উপর্যুপরি আঘাত করে। আসামীদের মারধরে ভিকটিম ফেরদৌসি আক্তার (৩২) এর মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামীরা দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম এর ভাই মোঃ মামুন খান (৩৬) বাদী হয়ে এজাহার দিলে পতেঙ্গা মডেল থানার মামলা নং-১২, তারিখ-১৪/০৭/২০২৫ইং ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। মামলা রুজুর পর থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এইচএম হারুনুজ্জামান রোমেল সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ একটানা অভিযান করে ইং ২০/০৭/২০২৫ তারিখ চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানাধীন চড়িহালদা মোড় হতে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত ঘটনার মূল হোতা এজাহারনামীয় ১নং আসামী মোঃ রনি (২৮) ও ৩নং আসামী সোলাইমান (৪৮)’দ্বয়কে গ্রেফতার করেন।