প্রথম পরিচয় হয়েছিল ফেসবুক স্ক্রিনে। নীলাভ আলোয় মোবাইলের ভেতর ভেসে উঠেছিল এক অজানা নাম হৃদয়। সেই নামটাই যে একদিন সত্যি সত্যি হৃদয় কেড়ে নেবে, তা হয়তো ভাবতেও পারেননি পাবনার গৃহবধূ খদিজা আক্তার নীলা।
নীলা ছিলেন সংসারী নারী, স্বামী নজরুল ইসলাম আর পাঁচ বছরের ফুটফুটে কন্যাকে ঘিরেই তার পৃথিবী। কিন্তু হঠাৎ একদিন ফেসবুকে পরিচয় হয় ঝিনাইদহের যুবক হৃদয়ের সঙ্গে। কথার শুরু ছিল সাধারণ কেমন আছেন?’ কিন্তু অল্প দিনেই সেই প্রশ্ন-উত্তরের ভেতর জন্ম নেয় এক গোপন গল্প।
প্রতিদিনের চ্যাট, রাত জাগা কল, ভালোবাসার ইমোজ, সব মিলিয়ে এক অদৃশ্য বাঁধনে জড়িয়ে পড়েন দু’জন। নীলা ভুলতে থাকেন সংসারের বাঁধন, সন্তানের ডাক, এমনকি স্বামীর স্নেহও। হৃদয়ের প্রতি তার টান হয়ে ওঠে অদম্য।
অবশেষে এক সকালে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই নীলা স্বামী-সন্তানকে ফেলে বেরিয়ে পড়েন। গন্তব্য ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রাম। সেখানে গিয়ে থামেন সরাসরি প্রেমিক হৃদয়ের বাড়িতে।
শুধু তাই নয়, পরিণতি টানতে ঝিনাইদহ জজ কোর্টে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়েও সেরে ফেলেন তারা। অথচ পুরোনো স্বামী নজরুল ইসলাম এখনও ডিভোর্স দেননি। ফলে আইনি জটিলতা থাকলেও নীলা এখন প্রেমিকের বাড়িতেই অবস্থান করছেন, অজানা ভবিষ্যতের দিকেই তাকিয়ে।
এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। কেউ বলছেন, “ভালোবাসার জয় হয়েছে।” আবার কারও চোখে এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভয়ঙ্কর অপব্যবহার।
যাই হোক, ফেসবুকের এই প্রেম এখন ঝিনাইদহ-পাবনা ছাড়িয়ে নেট দুনিয়ায় আলোচনার ঝড় তুলেছে। এরা কি জীবনে সুখী হতে পারবে অবুঝ বাচ্চার হাহাকার স্বামী নজরুলের বুকফাটা আত্মনাদ