Dhaka ০১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ আমলে হাওয়া ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাঁচাতে বিএনপি হতে ঢাল বানালো গণমাধ্যমকে

 

 

গাজীপুরের পূবাইল থানা বিএনপি সহ সভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকারকে দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ৫ ও ৬ মে তারিখে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার তিব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে সালাহউদ্দিন সরকার।

 

তিনি জানান,গাজীপুরের পূবাইল খিলগাও এলাকার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ সরকার জাতীয় দৈনিক পত্রিকা গুলোতে নিজেকে বিএনপি সমর্থক এবং আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে দাবী করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

 

এমন চারটি জাতীয় দৈনিকে একটি ভুল ডাহা মিথ্যা এবং কল্পনা প্রসূত সংবাদের তীব্র নিন্দা এবং ঘৃণা জানাচ্ছি।

 

সালাউদ্দিন সরকার আরো জানান,বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ সরকার কখনও বি এন পির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না । সে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গাজীপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন তার হয়ে কাজ । এর সূত্র ধরে চুমকি আঃরউফ সরকার কে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী বলে দাবী করে একটি ডিও লেটার দেন যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

চুমকির এই ডিও লেটারের পর আব্দুর রউফ সরকার যে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী তা প্রমাণের আর কিছু নেই।

 

তাছাড়া আমরা যখন বিএনপি করার কারণে গত ১৭ বছর জেল জুলুম খেটে বাড়ি ছাড়া,তখন আব্দুর রউফ সরকার আওয়ামী লীগের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা নিয়েছে। প্রথমে সে নিজে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে । তারপরে মুক্তিযুদ্ধার সনদে তার ছেলে আবু বকর সরকার(বর্তমানে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা নিয়েছে।

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র হাজার হাজার যুবকরা যখন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মিথ্যা মামলার জন্য মেধাবী হয়েও সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছে । তখন আব্দুর রউফ সরকারের ছেলে আবু বকর সরকার আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে দেশের নামকরা জেলা,উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরী করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের অবৈধ নির্দেশনা পালন করেছেন।

 

শুধু তাই নয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক ডিবি প্রধান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা দেওয়া ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র হত্যা মামলার আসামী ডিআইজি হাফিজ আখতার এই আব্দুর রউফ সরকারের শ্যালক এবং গত আওয়ামী লীগের সময় এর প্রভাব খাটিয়ে আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দিয়েছিল।

 

এই রউফ সরকার যদি গত ১৭ বছরে কোথাও বিএন পির কোন সভা সমাবেশে যোগদানের প্রমান দিতে পারেন তবে আমি বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে দিব।

 

২০২১ সালের আব্দুর রউফ সরকার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে আমাকে পুবাইল থানা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হিসেবে আখ্যা দিয়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে অনৈতিক সুবিধা চেয়ে একটি আবেদন করেছিলেন।

 

আজকে সেই আব্দুর রউফ সরকারী আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

 

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুবাইল থানা বিএনপির দায়িত্বশীল একজন জানান, আমি বিগত ৪০ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, আমার এই দীর্ঘ ৪০ বছর রাজনীতির পথ পরিক্রমায় কখনো আব্দুর রউফ সরকারকে বিএনপি’র কোন কর্মকান্ডে জড়িত হতে দেখি নাই, কিন্তু বর্তমান পূবাইল থানা বিএনপির সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার একজন ত্যাগী এবং নির্যাতিত বিএনপি নেতা, তার বিএনপি এর দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় সে কখনো অন্য কোন দলের সাথে জড়িত হয় নাই।

 

যেহেতু আব্দুর রউফ সরকারের ছেলে একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং আমাদের দল এখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নাই সেজন্য অনেক কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারিনা।

কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি সালাউদ্দিন সরকার বিএনপি’র নিবেদিত প্রাণ কর্মী। সে বিএনপি করতে গিয়ে তার জমি জমা বিক্রি করে রাজনীতি করেছেন।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রশাসন ক্যাডারের একাধিক কর্মকর্তারা জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার মামা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যিনি বর্তমানে বরখাস্তকৃত, তাদের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আবু বকর সরকার প্রশাসনে একচ্ছত্র প্রভাব খাটিয়েছেন,তার দাপটে তার চেয়ে মেলা সম্পন্ন কর্মকর্তারা তটস্থ থাকতেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শেরপুরে জমি বেদখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

আ.লীগ আমলে হাওয়া ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাঁচাতে বিএনপি হতে ঢাল বানালো গণমাধ্যমকে

Update Time : ১১:২৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

 

 

গাজীপুরের পূবাইল থানা বিএনপি সহ সভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকারকে দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ৫ ও ৬ মে তারিখে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার তিব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে সালাহউদ্দিন সরকার।

 

তিনি জানান,গাজীপুরের পূবাইল খিলগাও এলাকার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ সরকার জাতীয় দৈনিক পত্রিকা গুলোতে নিজেকে বিএনপি সমর্থক এবং আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে দাবী করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

 

এমন চারটি জাতীয় দৈনিকে একটি ভুল ডাহা মিথ্যা এবং কল্পনা প্রসূত সংবাদের তীব্র নিন্দা এবং ঘৃণা জানাচ্ছি।

 

সালাউদ্দিন সরকার আরো জানান,বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ সরকার কখনও বি এন পির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না । সে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গাজীপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন তার হয়ে কাজ । এর সূত্র ধরে চুমকি আঃরউফ সরকার কে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী বলে দাবী করে একটি ডিও লেটার দেন যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

চুমকির এই ডিও লেটারের পর আব্দুর রউফ সরকার যে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী তা প্রমাণের আর কিছু নেই।

 

তাছাড়া আমরা যখন বিএনপি করার কারণে গত ১৭ বছর জেল জুলুম খেটে বাড়ি ছাড়া,তখন আব্দুর রউফ সরকার আওয়ামী লীগের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা নিয়েছে। প্রথমে সে নিজে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে । তারপরে মুক্তিযুদ্ধার সনদে তার ছেলে আবু বকর সরকার(বর্তমানে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা নিয়েছে।

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র হাজার হাজার যুবকরা যখন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মিথ্যা মামলার জন্য মেধাবী হয়েও সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছে । তখন আব্দুর রউফ সরকারের ছেলে আবু বকর সরকার আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে দেশের নামকরা জেলা,উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরী করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের অবৈধ নির্দেশনা পালন করেছেন।

 

শুধু তাই নয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক ডিবি প্রধান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা দেওয়া ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র হত্যা মামলার আসামী ডিআইজি হাফিজ আখতার এই আব্দুর রউফ সরকারের শ্যালক এবং গত আওয়ামী লীগের সময় এর প্রভাব খাটিয়ে আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দিয়েছিল।

 

এই রউফ সরকার যদি গত ১৭ বছরে কোথাও বিএন পির কোন সভা সমাবেশে যোগদানের প্রমান দিতে পারেন তবে আমি বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে দিব।

 

২০২১ সালের আব্দুর রউফ সরকার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে আমাকে পুবাইল থানা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হিসেবে আখ্যা দিয়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে অনৈতিক সুবিধা চেয়ে একটি আবেদন করেছিলেন।

 

আজকে সেই আব্দুর রউফ সরকারী আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

 

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুবাইল থানা বিএনপির দায়িত্বশীল একজন জানান, আমি বিগত ৪০ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, আমার এই দীর্ঘ ৪০ বছর রাজনীতির পথ পরিক্রমায় কখনো আব্দুর রউফ সরকারকে বিএনপি’র কোন কর্মকান্ডে জড়িত হতে দেখি নাই, কিন্তু বর্তমান পূবাইল থানা বিএনপির সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার একজন ত্যাগী এবং নির্যাতিত বিএনপি নেতা, তার বিএনপি এর দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় সে কখনো অন্য কোন দলের সাথে জড়িত হয় নাই।

 

যেহেতু আব্দুর রউফ সরকারের ছেলে একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং আমাদের দল এখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নাই সেজন্য অনেক কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারিনা।

কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি সালাউদ্দিন সরকার বিএনপি’র নিবেদিত প্রাণ কর্মী। সে বিএনপি করতে গিয়ে তার জমি জমা বিক্রি করে রাজনীতি করেছেন।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রশাসন ক্যাডারের একাধিক কর্মকর্তারা জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার মামা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যিনি বর্তমানে বরখাস্তকৃত, তাদের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আবু বকর সরকার প্রশাসনে একচ্ছত্র প্রভাব খাটিয়েছেন,তার দাপটে তার চেয়ে মেলা সম্পন্ন কর্মকর্তারা তটস্থ থাকতেন।